নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গুলোতে চলছে লাগামহীন ভর্তি বাণিজ্য। সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অমান্য করে চলতি শিক্ষাবর্ষে,একাদশ শ্রেণির ভর্তিতে দাদপুর জি আর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি ফির দ্বিগুণ টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।। তবে কিছু কিছু কলেজে ভর্তি ফির দ্বিগুণ কিংবা তারও বেশি টাকা নিচ্ছে ।
শিক্ষা মন্ত্রণালয় একাদশ শ্রেণিতে ভর্তিযোগ্য শিক্ষার্থীদের তালিকা প্রকাশ করার পর, কলেজ গুলোতে ভর্তি চলছে। ভর্তি শেষ হয়েছে (৫ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার, তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ভর্তির সময় আবার বাড়িয়েছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নীতিমালা অনুযায়ী এলাকাভেদে সেশন চার্জসহ সর্বোচ্চ ভর্তি ফি নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সে ক্ষেত্রে ঢাকা মহানগর এলাকায় এমপিওভুক্ত কলেজে পাঁচ হাজার টাকা,উপজেলা বা মফাস্বলে ১ হাজার ৫ শত টাকার বেশী নেওয়া যাবেনা। তবে যেসব কলেজ নন এমপিওভুক্ত সেই সব প্রতিষ্ঠান ঢাকা মহানগর এলাকায় সর্বোচ্চ ৮ হাজার ৫ শত টাকা,উপজেলা বা মফাস্বলে ২ হাজার ৫ শত থেকে ৩ হাজার টাকার বেশী নিতে পারবে না।
কলেজ সুএে জানা যায়, কলেজে দুইটি শাখা রয়েছে জেনারেল ও ভোকেশনাল। জেনারেল শাখায় অসন সংখ্যা, মানবিকে-২শত ৭৫ জন,বিজ্ঞানে ১৫০ জন, বানিজ্য বিভাগে-১৫০ জন আর করিগরি শাখায়-২৫০ জন ভর্তি করানো যাবে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়,উপাজেলার দাদপুর জি আর ডিগ্রি কলেজে ভর্তি জন্য আসা শিক্ষার্থীদের থেকে অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে। শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে বৃদ্বা-আঙ্গুলী দেখিয়ে গ্রাম-গঞ্জের সাধারণ গরীব শিক্ষার্থীদের নিকট থেকে দ্বিগুন টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে কলেজের অধ্যক্ষ । কিছু শিক্ষার্থী ভর্তির টাকা একটু কম দেওয়ার জন্য প্রিনন্সিপাল সাহেবের কাছে গেলে, ধোমক আর রাগান্নিত সুরে বলে টাকা কম নেওয়া যাবেনা। এতে মন খারাপ করে চলে যাচ্ছে অনেক শিক্ষার্থী । অনেক কষ্টে টাকা ধারদেনা করে শিক্ষার্থী ভর্তি হচ্ছে কলেজটিতে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েক জন শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষকেরা আমাদের নিকট থেকে ২ হাজার ৫ শত টাকা থেকে ৩ হাজার টাকা করে ভর্তি বাবদ নিয়েছে। আমরা দারিদ্র্য পরিবার টাকা দিতে না পারলেও শিক্ষকদের চাপে বাধ্য হয়ে ধারদেনা কওর অতিরিক্ত টাকা দিয়ে কলেজে ভর্তি হয়েছি। কিছু অভিবাভক বলেন,আমার ছেলেকে ভর্তি করানোর এসে দেখি ভর্তি ফির অতিরিক্ত টাকা নিচ্ছে কলেজ কতৃপক্ষ। দাদপুর জি আর ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ জামাল উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি কলেজে এসে সামনাসামনি কথা বলুন বলে ফোন কেটে দেন।
এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার জাকির হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল বলেন, অধ্যক্ষ রেজুলেশন ছাড়া তিন হাজার টাকা কিভাবে আদায় করে তা আমার জানা নেই। বোর্ডের নির্ধারিত ফি ছাড়া অতিরিক্ত টাকা নেয়ার কোন নিয়ম নেই। আমি এখনই অধ্যক্ষের সাথে কথা বলছি।