নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে ক্লিনিকে নানা অব্যবস্থাপনা, ডেঙ্গু পরীক্ষায় বাড়তি ফি আদায়, চিকিৎসক ছাড়াই অপারেশন এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে ফাতেমা ক্লিনিকের ৪০ হাজার টাকা ও নিউ মডেল ক্লিনিকের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এছাড়া প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স ও ডাক্তার না থাকায় রোকেয়া জেনারেল হসপিটাল বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে হেলথ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক প্রতিষ্ঠানটি নিয়ম মেনে পরিচালনা করায় নির্দেশনা প্রদান ও সতর্ক করা হয়।
সোমবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কুরশিয়া আক্তারের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতের একটি টিম পৌর সদরের চারটি ক্লিনিকে অভিযান চালিয়েছেন। সঙ্গে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. তোফাজ্জল হোসেন মন্ডল, আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. ইকবাল মাহমুদ লিটন, নন্দীগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক শাহ সুলতান হুমায়ুন, ভ্রাম্যমাণ আদালতের পেশকার হেলাল উদ্দিন।
ডা. ইকবাল মাহমুদ লিটন জানান, ফাতেমা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ডেঙ্গু পরীক্ষায় বাড়তি ফি আদায়ের প্রমাণ মিলেছে। অপারেশন থিয়েটারসহ নানা অব্যবস্থাপনা, ডিউটি ডাক্তার ও ডিপ্লোমাধারী নার্স না থাকা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ ওষুধ রাখার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ওই ক্লিনিকের এমডি মেডিকেল টেকনোলজিস্ট বোরহান উদ্দিন শিবলুর স্ত্রী দিনা পারভীনের ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক। এছাড়া বাসস্ট্যান্ডে নিউ মডেল ক্লিনিকের লাইসেন্স নবায়ন না থাকা, চিকিৎসক ছাড়াই অপারেশন ও পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা না থাকাসহ নানা অব্যবস্থাপনার দায়ে প্রতিষ্ঠানের মালিক জাহিদুর রহমানের ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। অন্যদিকে লাইসেন্স ছাড়াই চলছিলো রোকেয়া জেনারেল হসপিটাল। সেখানে অপারেশন থিয়েটারে অকেজো মেশিনসহ অব্যবস্থাপনা, ল্যাব টেকনিশিয়ান ও ডাক্তার না থাকায় ওই প্রতিষ্ঠান বন্ধের নির্দেশ দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।