আবুল কালাম আজাদ: নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম উপলক্ষ্যে ইলিশ সম্পদ উন্নয়ন ও সুরক্ষা সংক্রান্ত জেলা টাস্কফোর্স কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (২ অক্টোবর) বেলা ১২টায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা। নাটোর জেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. মো. আবুল কালাম আজাদ সভায় স্বাগত বক্তব্য দেন। এসময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এ কে এম মাইনুল ইসলাম, সাংবাদিক বুলবুল আহমেদ ও সুফি সান্টুৃ বক্তব্য দেন।
এসময় সভায় বক্তারা বলেন, দেশের জনসাধারণের পুষ্টির অন্যতম প্রধান উৎস। দেশে বাৎসরিক ৫.৬৫ লক্ষ টন ইলিশ উৎপাদন হচ্ছে এবং দেশের জিডিপিতে এক শতাংশ অবদান রাখছে। বিশ্বের ৮৫ শতাংশ ইলিশ উৎপাদনের মাধ্যমে বাংলাদেশ ইলিশ উৎপাদনে সারা বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছে। পরম গৌরবের এই অবস্থানকে সুরক্ষা প্রদান করতে হবে।
নাটোর মৎস্য বিভাগের তথ্য মতে, মাছের মোট উৎপাদন (২০২১-২২) ৭১হাজার ১শ ৭৪ (মেট্রিক টন) মাছের চাহিদা (মাথাপিছু ৬৫গ্রাম হারে) ৪০হাহার ৪শ ৯১ মেট্রিক টন । এ জেলায় মাছের উদ্বৃত্ত ৩০হাজার ৬শ ৮৩ মেট্রিক টন। এছাড়া জেলায় মোট মৎস্যজীবি ১হাজার ৮শ৭৯জন, মৎস্য চাষী ২৫হাজার ৮শ ৫০জন। পুকুর রয়েছে ২৮হাজার ২শ ৮০টি,সরকারি হ্যাচারী ২টি, বেসরকারি হ্যাচারী ৭টি।
সুত্রমতে,আগামী ১২ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশের প্রধান প্রজনন মৌসুম। এই ২২ দিনে সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও বিনিময় সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ এবং দন্ডনীয় অপরাধ। আইন অনাম্যকারীকে এক থেকে দুই বছরের সশ্রম কারাদন্ড অথবা পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা অথবা উভয় দন্ডে দন্ডিত করা হবে।
নাটোরের মৎস্য কর্মকর্তা ড. মোঃ আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলার পদ্মা নদী অধ্যুষিত লালপুর উপজেলার ৫শ জন জেলেকে ২৫ কেজি করে চাল, ৫০ জনকে জেলেকে ১টি করে বকনা বাছুর পারেন । গত বছর ২৫ জন জেলেকে ১টি করে বকনা বাছুর প্রদান করা হয়। সভায় প্রজনন মৌসুুমে ইলিশকে সুরক্ষা প্রদানে লিফলেট, পোষ্টার, ব্যানার ও মাইকিং এর মাধ্যমে প্রচারণা চালানো, এবং ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে মনিটরিং কার্যক্রম পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।