ফারুক আহমেদ সলঙ্গা প্রতিনিধিঃ রাসূল (সা:)-এর পদ্ধতিতে ইবাদত না করলে তা গ্রহণযোগ্য হবে না। কিন্তু বাংলাদেশে ভিন্নভাবে ইবাদত করতে দেখা যায়। মানুষকে ইসলামের সঠিক দিক-নির্দেশনা প্রদান করতে বাংলাদেশ আহলে হাদিস আন্দোলন সিরাজগঞ্জের জেলা ও সলঙ্গা থানা শাখার উদ্দোগে এ দেশে শিরক-বিদআতমুক্ত ইসলাম প্রচারে সচেষ্ট ভূমিকা রাখছে।
গতকাল শনিবার বাদ আছর ছালাতের পর থেকে এশার ছালাত পর্যন্ত সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানার ৩নং ধুবিল ইউপি ২নং ওয়ার্ড আমশড়া দক্ষিণ পূর্বপাড়া জমে”মসজিদে এক মাসিক আলোচনা ও তালিমী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে আহলে হাদিস আন্দোলন বাংলাদেশ সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মুর্তবা এ কথা বলেন।
আমশড়া ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক ছাকাওয়াত হোসেন মাষ্টারের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আলোচনা করেন,বাংলাদেশ আহলেহাদীস আন্দোলন সিরাজগঞ্জ জেলা শাখার সেক্রেটারী আঃ মতিন, বাংলাদেশ আহলেহাদিস আন্দোলন সিরাজগঞ্জ যুব সংঘহের সেক্রেটারী় রাশেল বিন হাবিবু, তিনি রাসূলের সালাতের গুরুত্ব ও তাতপর্যো কি ভাবে সহি হাদিস থেকে সালাত পড়তে হয় সেই সম্পর্কে আলোচনা করেন। শাহাজতপুর মহিলা ডিগ্রি কলেজের প্রফেসর সাইফুল ইসলামের উপস্থাপনায় আরো শির্রক ও বিদায়াত সম্পর্কে আলোচনা করেন, আমশড়া ফাজিল মাদ্রাসার সহকারী মৌ-লোভী শিক্ষক ও আমশড়া দক্ষিণ পূর্বপাড়া জামে”মসজিদের খতিব আতিকুল ইসলাম। তিনি আরো বলেন,
বাংলাদেশে আহলে হাদীসের অনুসারীরা শির্ক-বিদআতমুক্ত সঠিক ইসলাম পালন করে থাকে। ইমাম চতুষ্টয়ও সঠিক ইসলামের উপর প্রতিষ্ঠিত ছিলেন। কুরআন ও হাদীসের আলোকে ইসলামি নির্দেশনা অনুসরণ করে চললে জঙ্গিবাদসহ বিভিন্ন মতবাদের অস্তিত্ব দুর্বল হয়ে পড়বে। শির্ক ও বিদআত তাওহীদ ও সুন্নাহর পরিপন্থি। আমলে শির্ক বিদআতের সংমিশ্রণ ঘটলে সেই আমল মূল্যহীন বলেই বিবেচিত হবে। তাই শির্ক বিদআতমুক্ত আমল ছাড়া নাযাত পাওয়া যাবে না।
উক্ত অনুষ্ঠানের সভাপতি ছাকাওয়াত হোসেন মাষ্টার তার সমাপনী আলোচনায় আরো বলেন, আমাদের দাওয়াত ও তাবলীগী তৎপরতা আরো বাড়াতে হবে। প্রতিটি মানুষের কাছে কুরআন ও সহীহ হাদীসের বার্তা পৌঁছে দিতে হবে। যারা ইসলামের নামে জঙ্গি তৎপরতা চালাচ্ছে, ইসলামী নীতি-আদর্শের সাথে তাদের দূরতম সম্পর্কও নেই। তারা যে নামেই পরিচিত হোক তারা মুখোশধারী মুসলিম। তাদের ব্যাপারে আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। কুরআন সুন্নাহ ছাড়া বিকল্প পদ্ধতিতে ইসলামের চর্চা হলে মুসলিম ঐক্যে বিভক্তি আসবে এবং শান্তি বিনষ্ট হবে। এছাড়া এময় আরো উপস্থিত ছিলেন, এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সমাজের মসজিদ বিত্তিক মুসুল্লীয়ান কেরাম।