তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে অবসর প্রাপ্ত অফিস পিয়ন আব্দুল হামিদ ও মাধাই নগর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সেলিম রেজার বিরুদ্ধে রম-রমা ঘুষ বাণিজ্য ও প্রজা হয়রানির অভিযোগ উঠেছে । ওই ইউনিয়নের একাধিক প্রজার অভিযোগ ভ’মির নামজারি, খাজনা রশিদ, পরচার ফটো কপিসহ সর্ব ক্ষেত্রে তাদের দিতে হয় মোটা অংকের ঘুষ। না দিলে হতে হয় সিমাহীন হয়রানীর ও খারাপ অচরনের স্বীকার।
ভূমি কর দিতে আসা মাধাই নগর গ্রামের গ্রজা নজরুল ইসলাম জানান, আমরা শুনেছি মাধাই নগর ইউনিয়ন ভূমি অফিস ওয়াশীন কার্যালয় থেকে গত এ্রপ্রিল মাসে অবসরে যান অফিস পিয়ন আব্দুল হামিদ। এরপরও ওই অফিসের ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সেলিম রেজা সরকারী নিয়ম কানুন উপেক্ষা করে আব্দুল হামিদকে নিয়ে কাজ করছেন এবং দুজনে মিলে অফিসটাকে ঘুষ বানিজ্যের স্বর্গ রাজ্যে পরিণত করেছেন।
ওয়াশীন গ্রামের প্রজা জয়নুল আবেদীন জানান, পিয়ন আব্দুল হামিদ তার ৪ শতক জমি খারিজ করতে ৫হাজার টাকা সিয়েছেন। সোনাপাতিল গ্রামের প্রজা নয়ন সরকার বলেন, আমার একটি খারিজে আব্দুল হামিদ ১৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। ভাদাস গ্রামের শহিদুল,আলম,কাদেও ওয়াশীন গ্রামের আবুবকর, সাইদুরসহ একাধিক প্রজা ভ’মি কর্মকর্তা সলিম রেজার বিরুদ্ধে প্রজাদে সাথে অসৈজন্য মুলক আচরন, প্রজাদের হয়রানী ও প্রতিটি খাজনার দাখিলার জন্য ৪শ থেকে ৮শ টাকা বাড়তি আদায়ের অভিযোগ করেন।
এ ব্যাপারে পিয়ন আব্দুল হামিদ গত এ্রপ্রিল মাসে অবসরে যাওয়ার কথা স্বীকার করেন। ঘুষ গ্রহন ও অবসরে গিয়েও অফিস করার ব্যাপাওে প্রশ্ন করলে তিনি নিরব থাকেস। মাধাই নগর ইউনিয়ন সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সেলিম রেজার সাথে মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। । অন্য দিকে সেলিম রেজা কর্মস্থলেও ছিলেন অনুপস্থিত । তাড়াশ উপজেলা সহকারী কমিশনার ( ভূমি) নুরী তাসমিন ঊর্মিও সাথে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।