তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) সংবাদদাতা: ন্যায্যমূল্য না পেয়ে এবছর বোরো ধান বেচে উৎপাদন খরচ উঠছেনা। গতকাল বুধবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার প্রসিদ্ধ বিনসাড়া হাটে ধান বেচতে এসে এমনটাই জানিয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এদিকে সপ্তাদুয়েকের ব্যবধানে আবারো ধানের দরপতন শুরু হয়েছে। চিকন চালের ধানের দাম জাত ভেদে ১ হাজার ২০০ থেকে কমে ১ হাজার ৩০ ও ১ হাজার ১২০ টাকা দরে বেচাকেনা হচ্ছে।
পেঙ্গুয়ারি গ্রামের কৃষক আব্দুল মমিন, লাউশন গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম, বস্তুল গ্রামের আনিছুর রহমান, বিনসাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল লতিফ ও আব্দুল জলিল বলেন, বৈশাখ মাসের শেষের দিকে ১ হাজার ৫০০ টাকা দরে ব্রি ধান-৯০ বেচাকেনা হয়েছে। ১৫ দিনের মতো অনুরূপ দাম পাওয়া গেছে। তারপর থেকে দাম কমতে শুরু হয়েছে। প্রতিমণ ধানের উৎপাদন খরচ পড়েছে প্রায় ১ হাজার ২০০ টাকা। বেচতে হচ্ছে তারও কম দামে। ভুক্তভোগী কৃষকরা সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
কৃষকদের অভিযোগ ধানের ব্যবসায়ীরা ধান কেনার পর একটি রশিদ তাদের হাতে ধরিয়ে দেন। ব্যবসায়ীরা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে কৃষকদের দেওয়ার আশ্বাস দেন। কিন্তু টাকা চাইতে গেলে সময় ক্ষেপণ করতে থাকেন। তাদের ইচ্ছে মতো টাকা না নিলে ধান কেনেনা।
বিনসাড়া হাটের ধানের ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ও ফজলুর রহমান কৃষকদের ধান বাকিতে কেনার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, মিলাররা নিয়মিত ধান নেয়না। আমাদের গুদামেও ধান পড়ে থাকে। বাজার নিয়ন্ত্রণে না থাকায় কৃষক ও ব্যবসায়ী উভয়ের লোকশান গুণতে হচ্ছে।
সরেজমিনে তাড়াশের সব চেয়ে বড় ধানের হাট বিনসাড়াতে দেখা গেছে, অসংখ্য কৃষক ধান বেচতে হাটে এসেছেন। কিন্তু ব্যবসায়ীদের ধান কেনার আগ্রহ কম। ধানের দাম কম হওয়ায় বেশীরভাগ কৃষক ধান নিয়ে বাড়ি ফিরে যাচ্ছেন।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আব্দুল্লাহ আল বলেন, চাহিদার তুলনায় চিকন চালের জাতের ধান বেশী উৎপাদন হয়েছে। বিশেষ করে ব্রি ধান-৯০ জাতের ধানের আবাদ বেশী হয়েছে। সর্বপরি বাজার মনিটরিং সেলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন তিনি ।