চাটমোহরে রেলক্রসিংয়ে ট্রেন ও পাওয়ার টিলার সংঘর্ষে এক জনের মৃত্যু

Spread the love

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহরে ট্রেনের সাথে বালুবাহী পাওয়ার টিলারের সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। এ দূর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরেকজন। নিহত ব্যক্তি হলেন পাবনার ফরিদপুর উপজেলার বেড়হাউলিয়া গ্রামের হাসানুল ইসলামের ছেলে আব্দুল করিম (৩৫)। আহত হয়েছেন তার ছোট ভাই লিখন আলী (৩০)।
এ দূর্ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (৭ জুলাই) দুপুর পৌনে ১টার দিকে রাজশাহী-ঢাকা রেলপথের চাটমোহর উপজেলার প্রভাকরপাড়া এলাকার রেলক্রসিংয়ে। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন চাটমোহর থানার ইনপেক্টর (তদন্ত) নয়ন কুমার সরকার।
স্থানীয়রা জানান, ফরিদপুর উপজেলার বেড়হাউলিয়া গ্রামের বালু ব্যবসায়ী আঃ করিম ও তার ভাই পাওয়ার টিলার চালক লিখন আলী চাটমোহরের পাথাইলহাট এলাকায় গত দু’দিন ধরে বালু সরবরাহ করছেন। শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার পর বালু দিয়ে পাথাইলহাট থেকে বাড়ি ফেরার সময় পাওয়ার টিলার নিয়ে প্রভাকরপাড়া রেলক্রসিং পার হচ্ছিলেন। এমন ঢাকাগামী চিলাহাটি এক্সপ্রেস ট্রেনের সাথে পাওয়ার টিলারের সংঘর্ষ হয়। এতে পাওয়ার টিলারসহ দুই ভাই ছিটকে পড়ে এবং মারাত্মক আহত হন। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আঃ করিমকে মৃত ঘোষনা করেন। গুরুতর আহত লিখনকে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। চাটমোহর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার মাসুম আলী খান জানান, চিলাহাটি এক্সপ্রেসের সাথে অরক্ষিত রেলক্রসিংয়ে এ দূর্ঘটনাটি ঘটেছে। বিষয়টি সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে পুলিশকে জানানো হয়েছে। সিরাজগঞ্জ রেলওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

ভাঙ্গুড়ায় দুই প্রসূতি মৃত্যু, ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার সিলগালা
চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় হেলথ কেয়ার লিমিটেডে চিকিৎসকের অবহেলায় সিজারিয়ানে দুই দিনে ২ প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করে দিয়েছে পাবনার সিভিল সার্জন। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) দুপুরে পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার রহিম উদ্দিন মৃধার (সমন্বয়) নেতৃত্বে একটি টিম এই অভিযান পরিচালনা করেন।
জানা গেছে, পৌর শহরের শরৎনগর বাজারে অবস্থিত হেলথ কেয়ার ক্লিনিকে গত ২৮ জুন আতিয়া খাতুন ও লাকি খাতুন সহ তিনজন প্রসূতিকে সিজারিয়ান অস্ত্রপাচার করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: হালিমা খানম। অস্ত্রোপচারের পর আতিয়া ও লাকি খাতুন মারাত্মক অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর ২৯ জুন লাকি খাতুন এবং ১ জুলাই আতিয়া খাতুন রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। পাবনা সিভিল সার্জন ডাক্তার মনিসর চৌধুরী বলেন, দুই প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় প্রাথমিক তদন্তে ওই ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটার সিলগালা করা হয়েছে।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD