ভাঙ্গুড়া(পাবনা)প্রতিনিধি:পা
বিশিষ্ঠ মাটি ব্যবসায়ী ঠিকাদার টুটুলের দাবী , স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন , ভুমি অফিসের কর্মকর্তা ও থানা পুলিশকে ম্যানেজ করে তিনি ফসলী জমিতে মাটি কাটছেন ও তা বিক্রয় করছেন। তবে এলাকাবাসীর দাবি, ফসলী জমিতে অনুমোদন বিহীন পুকুর খনন বন্ধ হওয়া দরকার ।
বুধবার সরেজমিন দুধবাড়িয়া-বড়ুকুরিয়া এলাকায় দেখা গেছে, দুধবাড়িয়া-বড় পুকুরিয়া গ্রামের মৃত গোলাপ হাজীর ছেলে আদম আলী তার আবাদী প্রায় ৫০ শতাংশ জমিতে ভেকু দিয়ে পুকুর খনন করছেন। ভেকু চালক জানান,এলাকার বিশিষ্ঠ মাটি ব্যবসায়ী টুটুল তাদেরকে ঘন্টা চুক্তিতে নিয়ে এসেছেন। জমি খননের অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছুই বলতে পারবেন না। গত সপ্তাহ খানেক ধরে তারা ফসলী জমিতে ১০ থেকে ১৫ ফুট গভীর করে খনন করে ড্রাম ৭/৮ টি ড্রাম ট্রাক যোগে বিভিন্ন স্থানে মাটি বিক্রি করছেন। এতে অনুমোদন না নিয়েই ফসলী জমিতে পুকুর খনন এক দিকে সরকারের ভুমি সংরক্ষণ আইনকে যেমন বৃদ্ধাগুলি দেখানো হচ্ছে অন্যদিকে ফসলী জমি সংকুচিত হচ্ছে দিন দিন। তবে বিশিষ্ঠ মাটি ব্যবসায়ী টুটুল দাবী করেন, স্থানীয় উপজেলা প্রশাসন, ভুমি অফিসের কর্মকর্তা ও থানা পুলিশসহ সকলের সাথে কথা বলেই তিনি ফসলী জমিতে মাটি কেটে বিক্রি করেছেন। তবে লিখিত কোন ধরণের অনুমোদন পত্র দেখাতে পারেন নি তিনি। এলাকাবাসীর দাবি, ফসলী জমিতে অনুমোদন বিহীন পুকুর খনন বন্ধ করে ফসলী জমি গুলি রক্ষা করা দরকার।জমির মালিক আদম আলী বলেন, ফসলী জমিতে মাটি কাটা হচ্ছে স্বীকার করে তিনি বলেন, অনুমোদনের বিষয়ে মাটি ব্যবসায়ী টুটুল বলতে পারবেন। অনুমোদনের বিষয়ে তিনি কিছু বলতে পারবেন না।
এ ব্যপারে ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান বলেন, ফসলী জমিতে মাটি কাটার বিষয়ে তার জানা নেই।ঘটনার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন,ফসলী জমিতে অনুমোদন বিহীন মাটি কেটে পুকুর খনন করার বিধান নেই। খোঁজ নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।