তাড়াশে ভূমি আফিসগুলোতে জনবল সংকট

Spread the love

তাড়াশে ভূমি আফিস গুলোতে জনবল সংকট বেড়েছে প্রজা ভোগান্তি
সাব্বির আহম্মেদ, তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ):  সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ইউনিয়ন ভূমি আফিস গুলোতে চরম জনবল সংকট দেখা দিয়েছে। ফলে ভ’মি কর প্রদান, ভ’মির নামজারি ও অন্যান্য সেবা নিতে এসে প্রতিদিন শত শত প্রজা ভোগান্তিতে পড়ছেন।উপজেলা ভূমি অফিস সুত্রে জানা গেছে, তাড়াশ উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ১ জন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা, ১ জন উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা এবং ২ জন অফিস সহায়কসহ মোট ৪ জন কর্মকর্তা- কর্মচারী থাকার কথা। কিন্ত বর্তমানে কোন অফিসেই ২ জনের বেশী কর্মকর্তা- কর্মচারী কর্মরত নেই। আবার কোনটিতে আছেন মাত্র এক জন কর্মকর্তা । ভূমি সহকারী কর্মকর্তা ৮ জনের স্থলে রয়েছেন ৫ জন। উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ৮ জনে আছেন ৪ জন এবং অফিস সহায়ক ১৬ জনে আছেন মাত্র ৭ জন।
সূত্র মতে উপজেলার তালম ইউনিয়ন ভূমি আফিসে ৪ টি পদের অনুকুলে তিনটিই শূণ্য থাকায় এখানে কমরত উপ- সহকারী ভূমি কর্মকর্তা ফিরোজ আহম্মেদ একাই সকল দায়িত্ব সামলাচ্ছেন। বারুহাঁস ইউনিয়ন ভূমি অফিসে উপ- সহকারি ভূমি কর্মকর্তা সুমন হায়দার ও একজন অফিস সহায়ক নিয়ে কাজ করছেন। তবে উপ- সহকারি ভূমি কর্মকর্তা সুমন হায়দার আবার সপ্তাহে দু’দিন (সোম ও মঙ্গলবার) তাড়াশ সদর ভূমি অপিসে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। যে কারণে বারুহাঁস ইউনিয়ন ভূমি অফিসে থাকা একজন মাত্র অফিস সহায়ক দুই দিন অফিস সামলালেও কর্মকর্তা না থাকায় সেবা প্রত্যাশীরা ওই দুই দিন তেমন সেবা পাননা। আবার সগুনা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম ও একজন অফিস সহায়ক দায়িত্ব পালন করছেন। একই অবস্থা মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসেও। এখানে উপ- সহকারী ভূমি কর্মকর্তা নুরল ইসলাম ও একজন অফিস সহায়ক দায়িত্ব পালন করছেন। নওগাঁ ইউনিয়ন ভূমি অফিসে, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলাম ও একজন অফিস সহায়ক দায়িত্ব পালন করছেন। মাধাইনগর ইউনিয়ন ভূমি অফিসে, সহকারী ভূমি কর্মকর্তা সেলিম আহম্মেদ ও একজন অফিস সহায়ক দায়িত্ব পালন করছেন। দেশীগ্রাম ইউনিয়ন ভূমি অফিসে, উপ সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মোস্তাাগীর কবির ও একজন অফিস সহায়ক কর্মরত আছেন।
এভাবে জনবলের অর্ধেক না থাকায় উপজেলার ভূমি অফিস গুলোতে সেবা প্রত্যাশীরা চরম দূর্ভোগে পরেছেন বলে জানান ইসমাইল হোসেন নামের একজন সেবা প্রত্যাশী। বোয়ালিয়া গ্রামের জহুরুল ইসলাম জানান, মাধাই নগর ইউনিয়ন ভ’মি অফিসে ৬ দিন ঘুরে তবেই তিনি ভূমি উন্নয়ন কর দিতে পেরেছেন। আর ভূমি অফিসে জনবল সংকটে এ অবস্থা শুধু তাঁরই নয় উপজেলার সকল প্রজার।এ বিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নূরী তাসমিন উর্মি জানান,জনবল সংকটে অনেক কাজে বেশী সময় লাগায় প্রজাদের ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। সিরাজগঞ্জের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মোবারক হোসেন বলেন, আমরা জনবল সংকটের বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছি। আশা করছি খুব শিগ্রই বিষয়টির সমাধান হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD