রায়গঞ্জে প্রানিসম্পদ কার্যালয় ঘেরাও

Spread the love

রায়গঞ্জ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জে সমন্বিত প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় হতদরিদ্র পরিবারে মাঝে বৃহস্পতিবার (৮জুন) সকাল ১০টায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল শুভ উদ্বোধনের মাধ্যমে বিতরণ কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু হাসের জায়গায় হাসের বাচ্চা বিতরণে অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ও রায়গঞ্জ উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে। অভিযোগ ওঠার পর বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করা হয়। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রকল্পের আওতায় ৫০০টি হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০ হাজার হাঁস বিতরণের উদ্যোগ নেয় উপজেলা প্রানিসম্পদ দপ্তর। একটি সুফলভোগী পরিবার পাবে ২০টি হাঁস। একেকটি হাঁস হবে খাকি জাতের, যার বয়স হবে ৫০ দিন এবং ২০টি হাসের ওজন হবে ১৬ কেজি। বিতরণ কাজের দায়িত্ব পায় জেনন্টেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। কিন্তু ২০ টি হাঁসের ওজন ১৬ কেজির জায়গায় বিতরণ করা হয় ৫-৭ কেজি ওজনের হাঁসের বাচ্চা। একপর্যায় সুফল ভোগীরা প্রাণী সম্পদ অফিস ঘেরাও করলে উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ওয়ালী-উল ইসলাম ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজনেরা পালিয়ে যায়। কিন্ত সুফলভোগীর তোপের মুখে ভেটেনারী সার্জন ডাঃ আমিনুল ইসলাম পালানোর সুযোগ না পেয়ে গন মাধ্যম কর্মীদের বক্তব্য দিতে বাধ্য হয়। উপজেলার সুফলভোগী সুবাস, বিজয়, জয়দেব, রমেশ, ধিরেন, রজব, শহিদুল, চঞ্চল সহ সকল সুবিধা ভোগীরা জানান, প্রকল্পের আওতায় প্রথমে আমাদের হাঁস পালনে ট্রেনিং দেওয়া হয়।ট্রেনিংয়ে বলা হয় আমাদেরকে খাকি জাতের হাস দেওয়া হবে। এখন এসে দেখছি এ গুলো ২০ টি বাচ্চা হাঁস দেওয়া হচ্ছে। আমরা দিনমজুর মানুষ,দিন আনি দিন খাই,আমরা কামলা কামাই দিয়ে আজকে ৩-৪ শ টাকা গাড়ি ভাড়া করে হাঁস নিতে এসেছি। কিন্তু আমাদের এই হাঁস বিতরণে অনিয়ম করেছে তাই আমরা প্রাণী সম্পদ অফিস ঘেরাও করেছি।অনেকের অভিযোগ ২০টি হাঁসের বাঁচার কাছে তাদের ১৬-১৭ টি বাচ্চা হাস দেওয়া হয়েছে। সোনাখাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হেনা মোস্তফা কামাল রিপন বলেন,আমার ইউনিয়নে মোট ২৭০ জন সুফল ভোগীদের খাকি হাঁস দেওয়ার কথা থাকলেও দিচ্ছে বাঁচ্চা হাস,দেওয়ার অনিয়মের কথা শুনে আমি প্রাণী সম্পদ অফিসে এসে দেখি ২০টি হাঁস ১৬ কেজি ওজন হওয়ার কথা থাকলেও ২০টি হাঁসের ওজন ৫-৭ কেজি পরিমানের বাঁচ্চা বিতরণ করা হয়। এ ঘটনায় সুফলভোগীরা অফিস ঘেরাও করলে উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ওয়ালি-উল ইসলাম অফিস থেকে পালিয়ে যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেনটেক ইন্টারন্যাশনাল লিমিটেডকে ফোন দেওয়া হলে প্রতিষ্ঠানের কোনো কর্মকর্তা ফোন ধরেনি। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের ভেটেনারি সার্জন ডা. আমিনুল ইসলাম বলেন, ২০ টি হাঁসের ওজন ৫-৭ কেজি হওয়ায় বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে। এ ঘটনায় জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গৌরাঙ্গ কুমার তালুকদার বলেন, রায়গঞ্জ উপজেলায় ৫০০ টি খামারীদের মাঝে ২০ টি করে হাঁস বিতরণ করা হবে। ২০ টি হাঁসের ওজন হবে ১৬ কেজি।খামারীদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তাকে বলে দিয়েছি ওজনে কম হলে হাঁসের বাচ্চাগুলো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ফেরত দিতে। এ বিষয়ে রায়গঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৃপ্তি কণা মন্ডল জানান,আমাকে শুধু উদ্বোধনের দাওয়াত দেওয়া হয়েছিলো। উদ্বোধনের সময় আমি বড় হাঁস দিয়েই উদ্বোধন করে এসেছি।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD