চাটমোহরে বোরো ধানের সেচের অংশ নিয়ে কৃষকদের বিরোধ 

সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে গভীর ও অগভীর নলকূপ মালিক পক্ষ আবাদকৃত বোরো ধানের সিকি অংশ দাবি করায় বিরোধ দেখা দিয়েছে কৃষকদের সাথে। বোরোচাষিরা সমাধানের জন্য দারস্থ হচ্ছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে। রবিবার কয়েকটি এলাকার কৃষক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরে এসে অভিযোগ করেন সেচযন্ত্র মালিকরা সরকারি সিদ্ধান্ত অমান্য করে আবাদকৃতধানের সিকি অংশ দাবি করছেন। এ নিয়ে তাদের সাথে বিরোধ চলছে। চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল কৃষকদের বলেছেন আবাদকৃত ধানের ৫ ভাগের ১ ভাগ পাবেন সেচযন্ত্র মালিকরা। এর অন্যথায় হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কৃষকরা অভিযোগ করেন, সেচযন্ত্র মালিকরা কোন সিদ্ধান্ত না মেনে চার ভাগের এক ভাগ ধান দাবি করছেন। চাষিরা জানান, এক বিঘা জমিতে বোরো ধান আবাদ করে তাদের এখন লোকসান গুনতে হচ্ছে। সেচযন্ত্র মালিকরা চার ভাগের এক ভাগ নিলে, ধান কাটা শ্রমিকার প্রতিমণে নিচ্ছেন ১২ কেজি আর পরিবহণ খরচ মণপ্রতি ২ কেজি। লাভবান হচ্ছেন মধ্যস্বত্বভোগিরা। লোকসান গুনতে হচ্ছে চাষিদের। উপজেলার হান্ডিয়াল ইউনিয়নের নবীন, হরিপুর ইউনিয়নের ধরইলসহকয়েকটি অঞ্চলে ধানের ভাগ নিয়ে চাণিদের সাথে সেচযন্ত্র মাীলকদের বিরোধ চলছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোছাঃ মমতাজ মহল বলেন, সিদ্ধান্ত রয়েছেসেচযন্ত্র মালিকরা ৫ ভাগের ১ ভাগ ধান পাবেন। এ বিষয়ে বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তের বাইরে কেউ ধান দাবি করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি কৃষকদের এ বিষয়ে সচেতন হবার আহবানজানিয়েছেন।