তাড়াশ উপজেলায়  দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিপাকে সাধারণ মানুষ

Spread the love
মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ
তাড়াশে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। বাজারে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ নিত্যপণ্যের দাম লাগামহীন। এর সঙ্গে এবার যোগ হয়েছে আলু ও মুরগী। পাশাপাশি ভোজ্যতেল, ডিম, আদা, রসুন, চিনি, সবজির উচ্চ দামও মানুষকে ভোগাচ্ছে। জীবনযাত্রার ব্যয় বাড়ার কারণে দৈনন্দিন চাহিদা মেটাতে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। বিভিন্ন বাজারের তথ্যমতে, খুচরা বাজারে প্রতি কেজি মোটা চাল বিক্রি হচ্ছে ৬০-৬৫ টাকায়, যা দুই- তিন মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৫০-৫৫ টাকায়। প্রতি কেজি মসুর ডাল (বড়দানা) বিক্রি হচ্ছে ১২০-১৩০ টাকায়, যা আগে ছিল ৯০-১০০ টাকা। খোলা আটা প্রতি কেজি ৬৫-৬৮ টাকা; দুই তিন মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৪৮-৫২ টাকায়। আলু গত একমাস আগেও বিক্রি হত ২০-২২ টাকা যা বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৩৫-৪৫ টাকা, পেয়াজ রমজানেও বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকা, যা আজ দৈনিক বাজারে ৭৫-৮৫ টাকা। এ ছাড়াও বাজারে কাচাঁ সবজি ৭০-৮০ টাকার নিচে দামও বলা যাচ্ছে না। আর গরু মাংস বাজারে ৭৫০-৮০০ টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যান্ডেল গা মাজানো সাবান কাপড় ধোয়ার গুরা সাবান দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে।
ভোজ্যতেলের মধ্যে খোলা সয়াবিন প্রতি লিটার বিক্রি হচ্ছে ১৯৫-২০০ টাকায়; এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ১৫০-১৬০ টাকায়। পাঁচ লিটারের বোতলজাত সয়াবিন তেল বিক্রি হচ্ছে ৯৪০ টাকায়, এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৮৪০ টাকায়। বাজারে দীর্ঘদিন ধরেই চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে সবজি। ১৩০ টাকা ডজন বিক্রি হওয়া ডিম এখন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ টাকায়। গত চার মাসের বেশি সময় ধরে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচামরিচ। এখন কয়েক দফা দাম বেড়েছে পেঁয়াজের।এদিকে দাম বাড়ানোর পেছনে নানা অজুহাত দেখাচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। খুচরা চাল বিক্রেতারা দুষছেন মিলারদের। তারা বলছেন, মিলারদের কারসাজিতে এখনও চালের দর বাড়তি। তারা সিন্ডিকেট করে মিল পর্যায় থেকে সব ধরনের চালের দর বাড়িয়ে দিয়েছে। যে কারণে পাইকারি থেকে খুচরা পর্যায়ে চালের দর বেশি।
এ ব্যপারে সোহেল রানা পারভেজ বাজারে বাজার করতে আসা কথা হয় সাথীর সাথে, তিনি জানান ৫ জনের সংসার। ২০ হাজার টাকা বেতনে চাকরি করি বাসা ভাড়া তিন বাচ্চার স্কুলের খরচ মিটিয়ে কোন রকম দিনাতিপাত করছি, ভালমন্দ তো দুরের কথা ডালভাত খেতেও হিমসিম খেতে হচ্ছে।এ ব্যপারে আরেক ব্যবসায়ী সামছুল হক জানান,আমরা পাইকারি বাজারে গেলে সকালে একরকম দামে ক্রয় করলে বিকেলে গিয়ে দেখি দাম বারতি।আমরা খুসরা ব্যবসায়ীদের সীমিত লাভ,আমরা কি করবো বিভিন্ন পন্য কিনার উপর বিক্রি করতে হয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, দেশে চাল, ডাল, তেল, পেঁয়াজসহ সব পণ্যেরই মজুত ও সরবরাহ স্বাভাবিক রয়েছে। কিছু সিন্ডিকেট করা অসাধু ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন দুর্যোগ পরিস্থিতি কেন্দ্র করে অনৈতিক লাভের নেশায় মেতে উঠেছে। কেউ কেউ পণ্য মজুত করে কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে। এতে নিত্যপণ্যের বাজারে অস্থিরতা বিরাজ করছে। কষ্ট বাড়ছে নিম্নআয়ের মানুষের।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD