তাড়াশ (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সিরাজগঞ্জের তাড়াশে একই রাতে ৫ টিসহ দশ দিনে কৃষকের বোরো মাঠের বিদ্যুৎ চালিত সেচ যন্ত্র থেকে ১২ টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। যার বাজার মূল্য প্রায় ৫ লাখ টাকা।
এ দিকে অব্যাহত ট্রান্সফরমার চুরির ঘটনায় সেচ কার্যক্রম চালু রাখতে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
জানা গেছে, গত বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার মাধাইনগর ইউনিয়নের ওয়াশীন এবং উত্তর মথুরাপুর গ্রামের ফসলী মাঠ থেকে কৃষক মহসীন আলীর ৩ টি, চাঁন্দু সরকারের ১ টি, মনসুর রহমানের ১ টিসহ বিদ্যুৎ চালিত সেচযন্ত্রের ১০ কেভি ওজনের ৫ টি ট্রান্সফরমার চুরি করে নিয়ে গেছে চোরের দল।
এ ছাড়া চলতি মাসের শুরুতে ভাদাস গ্রামের কৃষক এবাদ আলীর ১ টি, পৌষার গ্রামের সুশীল সরকারের ১ টি, বিলাসপুরের সমশের আলীর ৩ টি, উত্তর মথুরাপুর গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ১ টি এবং একই গ্রামের মনসুর আলীর ১ টিসহ মোট ৭টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়।
উত্তর মথুরাপুর গ্রামের কৃষক মনসুর রহমান জানান, গত দেড় সপ্তাহে চোরের দল যে ১২ টি ট্রান্সফরমার চুরি করেছে। আর সে সকল সেচ যন্ত্রের সেচ কাজ বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে অনেক জমিতেই ধান কাটা হয়নি। অথচ সেচ দিতে হবে। সে সকল কৃষক ট্রান্সফরমার হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন। কেননা এক একটি ৫ থেকে ১০ কেভি ওজনের ট্রান্সফরমার কিনতে কৃষককে ৩৫ থেকে ৪০ হাজার টাকা ব্যয় করতে হবে। পাশাপাশি এসব ট্রান্সফরমার কেনার পর তা বৈদ্যুতিক খুঁটিতে এবং সংযোগ দিতে আরো ৫ থেকে ৭ দিন সময় লাগবে। ফলে সেচের অভাবে উঠতি বোরো ধানের ব্যাপক ক্ষতি হয়ে যাবে।
বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হওয়া প্রসঙ্গে তাড়াশ পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের সহকারী জেনারেল ম্যানেজার মো. রাব্বুল হাসান বলেন, তাড়াশে বিপুল সংখ্যক ট্রান্সফরমার চুরি ঘটনায় বিদ্যুৎ বিভাগও শংকিত হয়ে পড়েছে। কেননা গত ১০ দিনে শুধু ১২টি নয় গত ২০২২ সালে এ উপজেলায় প্রায় ৫৩ টি ট্রান্সফরমার চুরি হয়েছে। তবে আমরা ট্রান্সফরমার চুরি বন্ধে সচেতনার জন্য এলাকায় মাইকিং করলেও কোন কাজ হচ্ছে না।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার পুলিশ পরির্দশক (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, চুরির ঘটনায় কৃষক থানায় অভিযোগ করেন না। তবে ট্রান্সফরমার চোরদের আটক করতে পুলিশের তৎপরতা চলছে।