তাড়াশ ( সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি:
অপেক্ষার প্রহর শেষে আজ বৃহস্পতিবার সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের অপারেশন থিয়েটার চালু করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার বিকালে তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের স্বাস্থ্য প: প: কর্মকর্তা ডা: মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে অপারেশন থিয়েটার চালু করেন বিশিষ্ট শিশু বিশেষজ্ঞ ও সিরাজগঞ্জ -৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আজিজ।
এ সময় অন্যানের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সঞ্জিত কর্মকার, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মনিরুজ্জামান মনি, তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মেজবাউল করিম, ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন খাঁন, নারী ভাইস চেয়ারম্যান মর্জিনা ইসলাম প্রমুখ।উল্লেখ্য, তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন থিয়েটার চালুর মাধ্যমে চলনবিল অধ্যুষিত এ উপজেলার হাজার হাজার প্রসূতি মায়েরা বিনা মূল্যে নরমাল ও সিজারিয়ান ডেলিভারির সেবা সুবিধা পাবেন। এতে প্রসূতি মায়েদের প্রসব পূর্ববর্তী, প্রসবকালীন ও প্রসব পরবর্তী সেবা দেয়া হবে।এছাড়া তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো: মনোয়ার হোসেন জানান, ১৯৮৭ সালের ১৩ সেপ্টম্বর তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের উদ্বোধন করা হয়। সর্বশেষে ২০১৫ সালের ৭ আগস্ট তাড়াশ ৫০ শয্যা বিশিষ্ট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রূপান্তরিত করা হয়। তবে চালু ছিল না অপারেশন থিয়েটার।
এখন থেকে সরকারি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে রোগ নির্ণয় পরীক্ষাগার পুরোদমে চালু রয়েছে।তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. নুরনাহার পারভীন, কনসালটেন্ট (এনেস্থিসিয়া) জানান,এতে করে রোগীরা প্রাইভেট হাসপাতালের তুলনায় নাম মাত্র মূল্যে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার পাশাপাশি অপারেশান করাতে পারবেন।উল্লেখ্য, উল্লাপাড়া উপজেলার আলিয়ারপুর গ্রামের রাজিপ্রথম অপারেশন হওয়া মিম খাতুনের দিনমজুর স্বামী রাজিব সরকার বলেন, আমার স্ত্রীর সমস্যার কারণে স্বাভাবিকভাবে সন্তান না হওয়ায় তাড়াশ হাসপাতালে বিনামূল্যে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছে। ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন চালু না হলে ধার-দেনা করে বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে অপারেশন করা লাগত।ব সরকারের স্ত্রী প্রসূতি মিম খাতুনের সিজারিয়ানের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অপারেশন চালু করেন সিরাজগঞ্জ-৩ (রায়গঞ্জ-তাড়াশ) আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডা. মো: আব্দুল আজিজ। এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন, সিরাজগঞ্জ জেলা সির্ভিল সার্জন ডা. রামপদ রায়, তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কনসালটেন্ট (গাইনী) ডা. নুরনাহার পারভীন, কনসালটেন্ট (এনেস্থিসিয়া) ডা. জহুরুল ইসলাম তালুকদার।
প্রথম অপারেশন হওয়া মিম খাতুনের দিনমজুর স্বামী রাজিব সরকার বলেন, আমার স্ত্রীর সমস্যার কারণে স্বাভাবিকভাবে সন্তান না হওয়ায় তাড়াশ হাসপাতালে বিনামূল্যে সিজারিয়ান অপারেশন করা হয়েছে। ছেলে সন্তানের বাবা হয়েছি। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে অপারেশন চালু না হলে ধার-দেনা করে বেসরকারি ক্লিনিক বা হাসপাতালে অপারেশন করা লাগত।