সিরাজগঞ্জ(সলঙ্গা) প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় এক প্রভাবশালী কর্তৃক সরকারি রাস্তা আসল মেপ, আসল জায়গা থেকে সরিয়ে তার সুবিধার জন্য তার নিজ জমির অন্য জায়গা দিয়ে রাস্তা দেওয়াতে খুবদ্ধ এলাবাসি জানা গেছে, ধুবিল ইউনিয়নের আমশড়া গ্রামের মৃত জবেদ সরকারের ছেলে প্রভাবশালী, ভূমিদস্যু হাজী সোরহাব আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে দীর্ঘদিন ধরে এলাকার বিভিন্ন নিরীহ মানুষদেরকে হয়রানি, ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি জবর দখল সহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে আসছে। এমনকি তার মৃত ছোট ভাই আলতাফ হোসেনের বিধবা স্ত্রী ও তার নিজ বোন বিধবা মালেকা তার জবর দখল ও নির্মম নির্যাতন থেকে রেহাই পাই নাই। আমশড়া পূর্ব দক্ষিণ মধ্য পাড়া মৃত মহিরের বাড়ী সংলগ্ন সোজা ৩৫ ফুট প্রশস্ত প্রায় ২০০ ফুট দীর্ঘ রাস্তা ভূমিদস্যু সোরহাব আলী গায়ের জরে তুলে খলিলের বাড়ির পাশ দিয়ে সোজা রাস্তা বাঁকা করে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে দেওয়ায় খুপ্ত এলাবাসি। ঐ প্রাচীনতম সরকারি রাস্তা কেটে সে নিজ জমি বানিয়ে রেখেছে। এলাকার প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে কেউ কিছু বলার সাহস পায় না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধীক গ্রাম প্রধান জানান, সোরহাব হাজি একজন প্রভাবশালী, মামলা বাজ লোক। তার বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কিছু বললে আমাদের যে কোন সময় মিথ্যা মামলায় জরিয়ে হয়রানি করবে। তাই রাস্তা কাটার ঘটনাটি সত্য হলেও আমরা মুখ খুলতে পারছি না। এছাড়া মৃত মহিরের বাড়ির মোড় হতে বৃহত্তম কবরস্থানের পাকা রাস্তার মোড় পর্যন্ত রাস্তার দুই ধারের প্রভাবশালী, ভূমিগ্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে যে যার যার জমি গাঁ ঘেসে জন সাধারণদের চালাচলের জণ্য সরকারি রাস্তা রেকর্ডভুক্ত হওযার পরও রাস্তার পার্শ থেকে মাটি কেটে জবর দখল করে খাওয়া বা নিজ নিজ জমি বানিয়ে নেওযায় ক্ষুব্ধ স্থানী এলাকাবাসি। রেকর্ডভুক্ত রাস্তাটা মানচিত্র থেকে হারিয়ে যেতে বসেছে। এই ব্যস্ততম রাস্তা দিয়ে আগে চলতো প্রতিদিন প্রাচীনতম হাটে, ঐতিহ্যবাহী ফাজিল ডিগ্রী মাদ্রাসায়, হাফিজায়া কাওমিয়া মাদ্রাসায়, দুটি সরকারি প্রাইমারী স্কুলে, একটি সর্ববৃহৎত গবরস্থানেসহ এলাকার বিভিন্ন স্থানে যেত শত শত মানুষ। চলতো মহিষের গাড়ি,হাজার হাজার ভ্যান, রিকশা, মোটরসাইকেল ও সিএনজি টেকসি, ভটভটি, টলিসহ নানা যানবাহন। বিশেষ করে এই ১ কিলোমিটার রাস্তাটায় ৩৫ ফুট চান্দি থেকে কথাও ২ ফুট আবার কথাও ১ ফুট চান্দি থেকে আইলে পরিণিত হাওয়ায় খানা- খন্দকের সৃষ্টি কথাও আবার আগাছা থেকে জঙ্গে পরিণত হয়েছে। সরকারি রেকর্ডভুক্ত রাস্তাটা দিযে এলাকার কোমলমতি শিক্ষার্থী ও জনসাধারনের চলাচলসহ পাড়ার মৃত ব্যক্তিদের কবরস্থানে নিতে রীতিমত নিদারুন কষ্ট হচ্ছে। খেত খামার থেকে বিভিন্ন ফসলআদির বোঝা নিয়ে যেতে এমনকি একা পায়ে হেঁটে চলার সময় সর্তকভাবে পা ফেলতে হয়। তাই প্রায় এক কিলোমিটার আধা কাঁচা রাস্তা পূণ সংস্কার করা এলাকাবাসির প্রাণের দাবিতে প্ররিণিত হয়ে পড়েছে। একালের তকতকে ঝকঝকে সন্দুর এই ১কিলোমিটার রাস্তাটা আজ অভিভাবকহীন
স্থানীয় কৃষক মুজ্জামেল হোসেন এ প্রতিনিধিকে জানান যে, ইতিপূর্বে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিগণ এই রাস্তা সম্পর্কে প্রতিশ্রূতি দিলেও আমাদের সুবিধার্থে তারা তেমন কোন কিছুই করেন নাই। সেই তো আমাদের মরহুম চেয়ারম্যান আমজাত হোসেন চাচা এই রাস্তায় মাটি ফেলে দিয়েছিলেন। এর পর থেকে কোন জনপ্রতিনিধিগণ এক কোদাইল মাটি এই রাস্তায় ফেলনাই।
স্থানীয় ভুক্তভোগী লোকজন বলেন, রাস্তাটি সংস্কার করা হলে এ এলাকা অনেক এগিয়ে যাবে। এই এলাকা থেকে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পড়তে যাওয়া ছাত্র/ছাত্রীদের কষ্ট লাঘব হবে। রাস্তাটির দ্রুত সংস্কারের ব্যাপারে রায়গঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান এডভোকেট ইমরুল হোসেন তালুকদার ইমন,৩নং ধুবিল ইউনিয়নের সম্মানিত চেয়ারম্যান মিজানূর রহমান তালুকদার রাসেলসহ সংশ্লিষ্টদের সুনজর কামনা করেছেন এলাকাবাসি।