ফারুক আহমেদ, সলঙ্গা/সিরাজগঞ্জ :
নতুন বছরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধিতে সলঙ্গাসহ সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলার জনজীবন চরম দুর্বিষহ করে তুলেছে। চাল ডাল শিশু খাদ্য ও শাক সব্জি, মাছ, মাংস, ডিম, ঔষুধ,রোড,সেমেন্ট, কাপুরসহ প্রভিতী নিত্যপ্রয়োজনীও জিনিসপত্রের মূল্যবৃদ্ধিতে সাধারণ মানুষ দিশেহারা। কোথাও সরকারের নিয়ন্ত্রণ নেই। বাজার দর বৃদ্ধিতে মানুষ অনেক কষ্টে দিনাতিপাত করছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকালে সিরাজগঞ্জ সলঙ্গা এলাকার বিভিন্ন হাট- বাজার ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে। বাজারে সবজির দাম আগের মতই আছে। এসব বাজারে প্রতিকেজি টমেটো বিক্রি হচ্ছে ৬০ – ৫০ টাকা, বরবটি ৭০ থেকে ৬০ টাকা, শিম বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৪০ টাকা, বেগুণ ৫০ থেকে ৪০ টাকা, পাতা কফি প্রতি পিস ৪০ থেকে ৩০ টাকা, ফুল কপি প্রতি পিস ৩০ থেকে ২০ টাকা, করলা প্রতি কেজি ৮০ থেকে ৭০ টাকা, গাজর প্রতি কেজি ৫০ টাকা, চাল কামড়া পিস ৪০ থেকে ৩০ টাকা,প্রতি পিস লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৩০ টাকা, মিষ্টি কুমড়ার ৪০ টাকা, চিচিঙ্গা প্রতি কেজি ৬০ টাকা,পটল ৫০ টাকা, ঢেঁড়স ৮০ টাক, লতি ৬০ টাকা, মূলা ৩০ টাকা, কচুর লতি ৬০ পাকা ও পেপের কেজি ৪০ টাকা। এসব বাজারে পুরান আলুর কেজি প্রতি বিক্রি হচ্ছে ২৫ থেকে ৩০ টাকা। গত সপ্তাহের দামে পেঁয়াজ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা, রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৭০ টাকা। দেশি আদা বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা। এসব বাজারে কাঁচামরিচ প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা, কাঁচা কলার হালি বিক্রি হচ্ছে ২০ টাকা। শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়। এছাড়া শুকনা মরিচ প্রতি কেজি ১৫০ থেকে ২৫০ টাকা, রসুনের কেজি ৮০ থোকে ১৩০ টাকা, হলুদের কেজি ১৬০ থেকে ২২০ টাকা, বেড়েছে মুসুর ডালের দাম। দেশি ডালের কেজি ১১৫ থেকে ১২০ টাকা। এসব বাজারে ভোজ্যতেলের প্রতি লিটার খুঁচরা বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা। বাজারে বিভিন্ন ব্র্যান্ডের তেলের লিটারও বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকায়। বাজারে প্রতি কেজি চিনি বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকায়। আটা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়। বাজারে বেড়েছে গো খাদ্য খৈল ভূষিসহ ডিমের দাম লাল ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১০৫ থেকে ১১০ টাকায়। হাঁসের ডিমের দাম ডজন বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা। সোনালি (কক) মুরগির ডিমের ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। বাজারে বেড়েছে মুরগির দাম। ১৫ বেড়ে ব্রয়লার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৭৫ টাকা। সোনালি মুরগির কেজি ২৩০ টাকা। লেয়ার মুরগির কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৯০ টাকা। সলঙ্গা আমশড়া জোরপুকুর বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোঃ শিহাব উদ্দীন এই প্রতিনিধিকে জানান, যে শীত বেড়ে য়াওয়ায় মুরগির দাম বাজারে কম থাকার কথা। প্রতি বছরই শীতে সোনালী মুরগির দাম কম থাকে কিন্তু এবার সিন্ডিকেটের কারণে বেড়েছে দাম। বাজারে বেড়েছে চালের দাম।সরকারের পক্ষ থেকে এ নিয়ে কোনো মনিটরিং হচ্ছে না।
একুই বাজারের বড় ব্যবসায়ী মেলন সরকার আরো জানান, জিনিসপত্রের দাম বাড়িয়ে বাজারে কৃত্রিম সঙ্কট সৃষ্টি করছে একদল মুনাফাখোর। চাল, ডাল ভোজ্য তেলসহ দ্রব্যমূল্যের আকাশচুম্বিতে জনমনে চরম উদ্বেগ ও উৎকন্ঠা বিরাজ করছে। এভাবে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম বাড়তে থাকলে অল্প, মধ্য আয়ের মানুষের দুঃখ দুর্দশার কুল-কিনারা থাকবে না। তিনি বলেন, এমনিতেই মহামারি করোনার কারণে মানুষ বিপর্যস্ত। তার উপর জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি সাধারণ মানুষকে কষ্টে নিপতিত করছে।যার এক কেজি তেলের দরকার সে তার আয়ের উপর বেছেস করে এক পোয়া তেল বাজার থেকে ক্রয় করছেন। প্রত্যেকেই এই ভাবে আয়ের উপর হিসাব করে চলছেন। একারণে দোকান দারদের কেনাবেছা কমে গেছে। প্রতি বছরে হিসাব শেষে দোকানে চালান ঘারতি পড়ে। সেকারণে বাড়ি থেকে জমাজমি বন্দক রেখে প্রতি বছর দোকানের চালান ভরা লাগে। তাই কঠোর হস্তে সিন্ডিকেট ভেঙ্গে দিয়ে কালোবাজারীদের কালো থাবা থেকে সাধারণ মানুষকে বাঁচাতে সরকারকে কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে।