ডাঃ আমজাদ হোসেন, উল্লাপাড়া প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জের আশেপাশের তথা উল্লাপাড়া উপজেলায় শীতের তীব্রতা বাড়তে শুরু করায় গরম কাপড় কিনতে লোকজনদের দোকানে দোকানে ঘুরতে দেখা যাচ্ছে। পৌরশহরের অভিযাত কিম্বা ফুটপাত সবখানেই ভীড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। সাধ ও সাধ্যের মধ্যে ক্রেতারা শীতের পোশাক কিনছেন। এবার অন্য বছরের তুলনায় দেরিতে শীত অনুভূত হলেও শুরু থেকেই পোশাক কিনছেন ক্রেতারা। শীতের তীব্রতা থেকে বাঁচতে গরম পোশাক কেনা শুরু করেছেন উল্লাপাড়া বাসীপ্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। বিশেষ করে উল্লাপাড়া প্রাণকেন্দ্র ওভার ব্রীজের নিচে বাজারের ফুটপাতের দোকানগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকছে চোখে পড়ার মতো। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন অলীগলীর অস্থায়ী দোকানেও বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। যদিও ক্রেতাদের অভিযোগ এবার বিগত বছরের তুলনায় বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে শীতের পোশাক। ফুটপাতের দোকানগুলোতে তুলনামূলক কম দামে গরম কাপড় পাওয়ায় ক্রেতারা নামিদামী মার্কেটের থেকে ফুটপাতের দোকানেই বেশি ভিড় জমাচ্ছেন। ফুটপাতের কিছু কিছু দোকানে মার্কেটের মতো গরম কাপড়ের দাম চাওয়া হচ্ছে বলে ক্রেতাদের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে। যদিও কম আয়ের মানুষের ভরসাই ফুটপাতের দোকান।
যেসব শীতের পোশাক ক্রেতারা কিনছেন তার মধ্যে উল্লেখ্যযোগ্য হলো, মোটা জামা, শুয়েটার, মোটা গেঞ্জি, মাপলার, হুডি, জ্যাকেট, মোটা প্যান্ট, চাদর, মেয়েদের টুপিসহ অন্যান্য জিনিস। গতকাল শুক্রবার ছুটির দিন বিকেলে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রচুর নারী-পুরুষ শীতের গরম পোশাক কিনছেন। এর বাইরে নেই শিশুরাও। উল্লাপাড়া বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে মানুষ দোকান থেকে গরম কাপড় কিনছে।ক্রেতারা দোকানে দোকানে ঘুরে পছন্দের শীতের পোশাকটি কিনছেন। দোকানিরা দাম বেশি চাইলেও দাম দর করেই পছন্দের পোশাক কিনছেন ক্রেতারা। শিশুর জন্য শুয়েটার কিনতে আসা সাহনাজ নামের এক নারী সাক্ষাতকারে চলনবিল বার্তা পত্রিকার উল্লাপাড়া প্রতিনিধি ডাঃ আমজাদ হোসেন মিলনকে বলেন, কিছুদিন আগে থেকেই শীত অনুভূত হলেও এখন বেশি শীত পড়ছে তাই আমার মেয়ের জন্য শুয়েটার কিনতে এসেছি। তার জন্য জুতা ও মোজা কিনবো। নিজের জন্যও গরম কাপড় কিনবো। যাতে শীতে সমস্যা না হয়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, এবার গত বছরের তুলনায় দাম অনেক বেশি। আর এখন ক্রেতাদের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দোকানিরা দাম কমাচ্ছেন না। যা বলছে তাই ধরে রাখছে। তারপরও পছন্দ অনুযায়ী কিনেছি। এছাড়াও গড়ম কাপড়ের পাশাপাশি চলছে লেপ, তোসক,ও বালিশ ভরাটের কাজ।
গরম কাপড় কিনতে আসা ২নং বাঙ্গালা ইউনিয়নের প্রতাপ গ্রামের মোঃ আজাদুর রহমান সাক্ষাতে বলেন, ছেলে মেয়ে নিয়ে শীতের পোশাক কিনতে এসেছি। যাতে শীতের সময় কষ্ট না হয়। শীত নিবারণের জন্য ছেলেমেয়ের জন্য গরম পোশাক ও স্ত্রীর জন্য কিনেছি। আমার জন্যও জ্যাকেট কিনবো। গত বছরের একই মানের জিনিস একটু বেশি দাম চাওয়া হচ্ছে। ক্রেতা বেশি থাকায় বিক্রেতারা খুব একটা বেশি দাম কমাচ্ছেন না।উল্লাপাড়া বাজার এলাকার ফুটপাতের ব্যবসায়ীরা জানান, আগে তেমন শীতের পোশাক বিক্রি হয়নি। গত ৫/৭ দিন ধরে একটু বেশি বিক্রি হওয়া শুরু হয়েছে। দাম বেশি নেওয়া হচ্ছে এ অভিযোগ সত্য নয়। এ বছর সবকিছুর দাম বেড়েছে তাই শীতের পোশাকেও এর প্রভাব পড়েছে। পাইকারি বাজারে কম দামে পেলে কম দামেই বিক্রি করা হবে। কিছু লাভ হলেই ক্রেতাকে ছেড়ে দেইনা। শুধু উল্লাপাড়া বাজারেই নয় – নয়নগাতী রেলগেট, বোয়ালিয়া বাজার,পুর্নিমাগাতী বাজার, ধামাইকান্দী বাজার, গয়হাট্রা বাজার, উধুনিয়া, প্রতাপ হাট সহ বিভিন্ন বাজার এলাকার ফুটপাতে গরম পোশাক বিক্রি হচ্ছে। ফুটপাত ছাড়াও নামিদামী মার্কেটগুলোতেও শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে। সেই সাথে শীত নিবারণে কম্বল বিক্রিও বেড়েছে। উল্লাপাড়া উপজেলা ছাড়াও সিরাজগন্জ জেলার বিভিন্ন উপজেলার বাজারগুলেতে ফুটপাতে শীতের পোশাক বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে