সিরাজগ(সলঙ্গা) থেকে ফারুক আহমেদঃ
গত ১৩ই মার্চ ২০২০ইং শুক্রবার দৈনিক সংগ্রাম পত্রীকায় সিরাজগঞ্জের তিনটি উপজেলায় খাল দখল মুক্ত করে পূর্নঃখন প্রকাশের পর মুজিব বর্ষে বিএডিসি কৃষি মন্ত্রণালয় বাংণাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপেরেশন পাবনা নাটর সিরাজগঞ্জ জেলায় ভূ – উপরিস্থ পানির সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে খালপূর্ণখননের ফলে প্রাণ ফিরে স্বরূপে এসে যৌবনে ফিরেছে এক কালের জৌলুস হারিয়ে যাওয়া সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ, তাড়াশ ও উল্লাপাড়া উপজেলার মধ্য দিয়ে বয়ে যাওয়া যমুনার শাখা করতোয়া নদী যা চলনবিলের বুক চরে রাজশাহী পদ্দা নদীর ভিতর পরা খালগুলি। সলঙ্গা আমশড়া গ্রামের আব্দুল জুব্বার বলেন,চৌধুরী ঘুঘাট, আমশড়া, সেমিরঘন,বেতুয়া, নিমগাছি, ঝুরঝুরী, বোয়ালীয়া, মাধুবপুর সোলাপাড়া গ্রামগুলির উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের ভিতরে গত কয়েক যুগ যুগ ধরে পলি মাটি পরে মাছের অভয়াশ্রম ক্ষেত্র গুলি বন্ধ ছিল। খালের নানাস্থানে বাধ নির্মাণে হাজার হাজার একর জমি দখল করে নিয়েছিল। ফলে পরিণত হয়েছিল গবাদী পশুর চারণ ভূমিতে। খালগুলি প্রভাবশালীদের দখলে থাকার কারণে পুকুর খননে মহাউৎসাবে মেতেউঠেছিল ফলে কৃষকের হাজার হাজার একর জমি জলাবদ্ধতায় থাকতো। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মের্সাস কান্তা এন্টান ব্রাইজ আবুল কালাম সূত্রৈ জানা যায়, খাল সরকার ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের হাজার হাজার একর জমি বর্ষামৌসুমে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থাসহ আমিষের আকাল দূর করতে ও নদীর পানি প্রবাহ নিশ্চিত করতে অবক্ষায়িত জলাশয় উন্নয়ন ও ব্যবস্থাপনা এবং দেশিয় প্রজাতির ছোট মাছ সংরক্ষণ প্রকল্পের মাধ্যমে নদী- খাল খনন প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২১ অর্থ বছরে মুজিব বর্ষে বিএডিসি সেচবিভাগ বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপেরেশনের উদ্দোগে আমশড়া মৌজা থেকে চৌধুরী ঘুঘাট চেইনেজঃ ৩.৭ হতে ৬.১ কিলোমিটার খাল পূনঃখনন করছেন।
তাড়াশ চকঝুরঝুরি গ্রামের আব্দুল খালেক আরো জানান, আমরা সবাই কৃষি বান্ধব সরকারকে ধন্যবাদ জানাই মুজিব বর্ষে খালপূর্নঃখনকরাই যমুনা ও করতোয়া নদীর শাখা নদীর খালগুলি দীর্ঘদিন পর আবারও স্বরূপে যৌবনে প্রাণের জলুসের সৌন্দর্যে ফেরায় জেলেদের জাল দিয়ে মনের আনন্দে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত মাছ ধরতে দেখা মিলেছে সৌন্দর্যের নয়নাভিরাম নানারকম বিষ্ময়কর দেশীজাতীয় শোল,গজার,বোয়াল, টেংরা শাঁটি, কই, মাগুর,পাুটি,চিংড়ি মলা,পবদা,বেলে বাইং ইত্যাদি বিভিন্ন প্রজাতী মাছ পাওয়ায় খুশি তারা। বর্ষার ভোরা মৌসুমে খালে যখন পানি প্রবাহ হতো। তাতে দেখা গেছে শিশু, যবুক, বৃদ্ধারা তাদের স্বপ্নের খালে যৌবণের সাঁঁতার কাটতে সবাই সামিল হয়েছিলো। আরো দেখা গিয়েছে মুজিব বর্ষে উপলক্ষে সাংস্কৃতিক মনা ক্রিয়া ব্যক্তিত্ব সাবেক মেম্বর আকবার আলীর নেতৃত্বে ঐতিহ্যবাহী নৌকাবাইস সহ মাঝি মাল্যাদের ভাটিয়ালি গানের সুর শুনে যেন অনেক বছর পর মনে তৃপ্তি এনে দিতো ধর্ম,বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণী -পেশার মানুষ সবাইকে। তিনি আরো বলেন, আমি মনে করি যান্ত্রিক সভ্যতার ছোঁয়ায় হারিয়ে যাওয়া ডিঙিনৌকা,পেটকাটা নাওসহ বিভিন্ন হারিয়ে যাওয়া নৌকা দেখা যাবে, এসব হারিয়ে যাওয়া খালগুলিতে। শরতের শেষ দিকে পানি কমার সাথে এই সমুস্ত খালগুলিতে দেখা মিলছে ঐতিহ্যবাহি পলো উৎসবসহ দল বেঁধে বিভিন্ন ধরনের যন্ত্র ক্ষেতজাল, টাকজাল, ধর্মজাল,টায়াজাল,বেড়জাল,কোচ,টেঁটা প্রভি নিয়ে মাছ ধরার প্রস্ততি।
স্থানীয় লোকজনের ধারনা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই প্রকল্পলোর কাজ শেষ করিলে সারা বছর খাল- বিলে প্রচুর মাছ পাওয়ায় যাবে। কৃষকেরা শুস্ক মৌসুমে সেচ সুবিধা পাবে। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার পাশাপশি পানির অবাধ প্রবাহের সুযোগ সৃষ্টি হবে। তাছাড়া প্রাচীন এই গ্রামীন মাছ ধরার উৎসব টিকে থাকবে। মৎস্যজীবীদের দুর্দিন দূর হবে। আমাদের ছোট নদ -নদী খাল – বিলের অম্তিত্ব টিকে থাকবে। আমাদের ছোট নদী চলে বাঁকে বাঁকে বৈশাখ মাসে তাতে তার হাটু জল থাকবে।