বিএডিসি’র অগভীর নলকূপের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ
গোলাম মোস্তফা :সিরাজগঞ্জের তাড়াশে খেতে কৃষি কাজে সেচের জন্য বিএডিসি কর্তৃক অগভীর নলকূপের লাইসেন্স দেওয়া বন্ধ রয়েছে অনেক দিন ধরে। এ কারণে বোরো ধানের আবাদ করা নিয়ে রীতিমতো শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।এদিকে উপজেলা বিএডিসির উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব মো. ইমাম হোসেন জানান, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনা করে প্রায় সাত মাস সেচ কমিটির কোনো সভা অনুষ্ঠিত হয়নি। তাছাড়া কৃষকদের আবেদন মাঠ পর্যায়ে তদন্তের জন্য আলাদা কমিটি করতে বেশ সময় লেগে গেছে। ফলে এর মধ্যে কৃষকদের বিএডিসি’র অগভীর নলকূপের লাইসেন্স দেওয়া সম্ভব হয়নি।
বারুহাস ইউনিয়নের লাউশন গ্রামের কৃষক আনোয়ার হোসেন, ফারুক হোসেন ও তালম ইউনিয়নের লাউতা গ্রামের কৃষক আব্দুর রশিদ বলেন, আমরা গত বছরের ডিসেম্বর মাসে কৃষি খেতে অগভীর নলকূপের লাইসেন্সের জন্য নীতিমালা অনুযায়ী সব শর্ত মেনে বিএডিসি সেচ কমিটি বরাবর আবেদন করি। এরপর পরিদর্শন হয়ে গেছে। কিন্তু সেচ কমিটির সভা না হওয়ায় লাইসেন্স পাচ্ছিনা।
কৃষকেরা আরো বলেন, শ্যালো মেশিন দিয়ে পানি তুলে ধানের আবাদ করতে ডিজেল খরচ বাবদ অতিরিক্ত টাকা গুণতে হয়। একই সাথে ঝুঁকিপূর্ণও বটে। কারণ বোরো মৌসুমে ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার গভীরে চলে যায়। তখন বেশকিছু খেতের ধান পানির অভাবে মরে যায়। আমাদের খেতে কৃষি কাজে সেচের জন্য বিএডিসি কর্তৃক দ্রুততম সময়ের মধ্যে অগভীর নলকূপের লাইসেন্স প্রয়োজন। নয়তো বোরো মৌসুমে সময় মতো বৈদ্যুতিক মোটরের সংযোগ পাওয়া সম্ভব না।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, বিএডিসি’র অগভীর নলকূপের লাইসেন্স ছাড়া কৃষি খেতে সেচের জন্য মোটরের আবেদন জমা নেওয়ার নিয়ম নেই। লাইসেন্স পাওয়ার পরও নিয়ম অনুযায়ী ঠিকাদারের মাধ্যমে খেত পর্যন্ত মোটরের লাইন নির্মাণ করতে কয়েক মাস অবদি সময় লেগে যায়। এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি মো. মেজবাউল করিম বলেন, এক-দুদিনের মধ্যে সেচ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। তারপর থেকে কৃষকদের অগভীর নলকূপের লাইসেন্স দেওয়া শুরু হবে।