আবুল কালাম আজাদ :নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষকদের সাথে মতবিনিময় সভায় বললেন, কৃষক নয় আজ আমার দপ্তরে তারার মেলা বসেছে। আজকের অনির্ধারিত প্রোগ্রামটি এত ভাল লাগলো যা বলে বোঝানো যাবে না। দেশের কৃষকদের নিয়ে আজ খুবই গর্ব অনুভব করছি ।নাটোর জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে নাটোর ও পাবনার জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত দেশের সেরা ৯জনসহ দেশের সফল ৪৫ কৃষক সোমবার ১২ টায় জেলা প্রশাসকের সাথে মতবিনিময় করেন।
মতবিনিময় সভায় পুরস্কার প্রাপ্ত সফল কৃষকরা নিয়ে আসেন তাদের উৎপাদিত সেরা ফল ও সবজি। দেশে উৎপাদিত ৪৫ প্রকার সবজি ও ফল সাজিয়ে রাখেন সম্মেলন কক্ষের টেবিলে। দেখে মনে হয় এ যেন জেলা প্রশাসকের দপ্তর নয় কোন ফল ও সবজি মেলা।জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এর সভাপতিত্বে ও বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পদক প্রাপ্ত আম চাষী সেলিম রেজার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন, জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত দেশের সেরা কৃষক বাংলাদেশ কৃষক উন্নয়ন সোসাইটির সভাপতি কুলচাষী ময়েজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মৎস্যচাষী আবুল হাশেম, পেয়ারা চাষী আতিকুর রহমান আতিক, মৎস্যচাষী হাবিবুর রহমান হাবিব, লিচু চাষী কেতাব আলী ও কপি চাষী আব্দুল বারী, পেঁপে চাষী বাদশা মিয়া, সেরা কৃষাণী রুবিনা খাতুন ও বেলি বেগম এবং সেরা কৃষক হাসান আলি ও আব্দুল আজিজ।আরো বক্তব্য রাখেন, নাটোরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাদিম সারোয়ার , কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত উপ-পরিচালক বেলাল হোসেন ও নাটোর প্রেসক্লাবের সভাপতি জালাল উদ্দিন। জাতীয় পুরষ্কার প্রাপ্ত বরেণ্য কৃষকেরা বলেন, উৎপাদিত ফসলের মূল্য আগে থেকে নির্ন্ধারণ করা না থাকায় এবং কাঁচামাল সংরক্ষনের ব্যবস্থা না থাকায় তারা কখনোই লাভবান হচ্ছেন না। লাভ করছে মধ্যস্বত্বভোগীরা। তারা কাঁচামাল সংরক্ষনের ব্যবস্থা, ফসলের ইন্সুরেন্স্য চালুর পাশাপাশি ৮০ ভাগ কৃষকের দেশে সংসদসহ সকল ক্ষেত্রে কৃষক প্রতিনিধি রাখার জোর দাবী জানান। নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ পূর্ণ আন্তরিকতার সাথে সকলের পুরো বক্তব্য শোনেন এবং এ সব সমস্যা সমাধানে সাধ্য মতো প্রচেস্টা করবেন বলে জানান।