ভদ্রাবতী নদীতে বারবার সোঁতি কেন ?

Spread the love

তাড়াশ থেকে গোলাম মোস্তফা
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভদ্রাবতী নদীর জলস্রোতের স্বাভাবিক প্রবাহে বাঁশের বেড়া দিয়ে সোতিজাল পেতে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। ফলে আবাদি জমি পানিতে তলিয়ে আমন ধান ডুবে যাচ্ছে।
মঙ্গলবার বিকেলে সরজমিনে উপজেলার তালম ইউনিয়নের তালম গ্রাম এলাকা ও উপরসিলোট গ্রাম এলাকার বিস্তীর্ণ মাঠে মাঠে এরকোম চিত্র দেখা গেছে। ইতোমধ্যে এসব মাঠের বেশকিছু জমির ধান সম্পূর্ণ পানিতে ডুবে গেছে।তালম গ্রামের কৃষক আব্দুস সবুর, আলমগীর হোসেন, আব্দুল বারিক ও আবুল বাশার বলেন, রানীহাট থেকে বারুহাস পর্যন্ত ভদ্রাবতী নদীর বেশ কয়েকটি স্থানে বাঁশের বেড়া দিয়ে সোতিজাল পেতে রেখেছেন প্রভাশালী ব্যক্তিরা। এ কারণে উজানের বৃষ্টির পানি তালম গ্রামের নগরপাড়ার পাশাপাশি দুটি সেতু দিয়ে বিস্তীর্ণ মাঠের আবাদি জমির মধ্যে ঢুকে পড়ছে। এরপর সেই পানি তালম-নগরপাড়া গ্রামীণ সড়কের বটতলা মোড়ের কালভার্টে আটকে যাচ্ছে।
জানা গেছে, তালম গ্রামের আকবার আলী নামে এক ব্যক্তি কালভার্টের মুখে পাড় বেধে অবৈধ পুকুর খনন করেছেন। এতে তালম ও উপরসিলোট গ্রাম এলাকার কয়েকশো বিঘা জমির আমন ধান পানিতে ডুবে যাচ্ছে।
ভুক্তভোগী কৃষকেরা জানান, দ্রুততম সময়ে সোতিজাল উচ্ছেদ করা গেলে ও পুকুরের পাড় কেটে কালভার্টের মুখ মুক্ত করা হলে এখনও ধান বেঁচে যাবে। নয়তো দিনকে দিন নতুন নতুন এলাকার ধান ডুবে যাবে।উল্লেখ্য, প্রতি বছরই ভদ্রাবতী নদীতে বর্ষাকালে এলাকার কতিপয় লোক সোঁতিজাল সহ নানা অবৈধ উপায়ে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করে ফসলের ও বসতবাড়ীর ক্ষতি করে থাকে যার স্থায়ী প্রতিকার জরুরী দরকার।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুননাহার লুনা বলেন, এক থেকে দুদিনের মধ্যে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে কৃষকের ফসল রক্ষার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD