তাড়াশে ৫০ বছরেও যে রাস্তা কাঁচা

Spread the love

এম এ মাজিদ :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশের মাধাইনগর ইউনিয়নের মালশিন- গুড়মা ও শিলংদহ থেকে দোগাড়িয়া পর্যন্ত প্রায় দশ কিলোমিটার কাঁচা কর্দমাক্ত রাস্তায় পাঁচ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। কাঁচা রাস্তা দীর্ঘ দিন মাটির কাজ না করায় পায়ে হেঁটে চলারও অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।

সরেজমিনে জানা গেছে,ওই রাস্তা দিয়ে প্রতিদিন ৫’শ থেকে ৬’শ মানুষ প্রয়োজনের তাগিদে যাতায়াত করতে বাধ্য হয়। এছাড়াও কৃষি নির্ভর কয়েকটি গ্রামের মাঠে উৎপাদিত ৭’শ থেকে ৮’শ একর জমির ফসল ওই কাঁচা কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন উপায়ে বিক্রি করেন কৃষকরা। বর্ষা মৌসুমে এসব কাচা কর্দমাক্ত রাস্তা দিয়ে কৃষক ও পথচারীরা যানবাহন তো দূরের কথা পাঁয়ে হেঁটেও চলতে পারে না। সামান্য বৃষ্টি হলেই কৃষকদের কষ্টে উৎপাদিত ধানসহ অন্যান্য ফসল বাজার মূল্যের চেয়ে অনেক কম দামে বিক্রি করতে হয়। গুড়মা গ্রামের আরিফুল ইসলামসহ একাধিক কৃষক কলেন, মাত্র কয়েক কিলোমিটার রাস্তা কাঁচা হওয়ায় বর্ষা মৌসুমে আমাদের কষ্টের সীমা থাকে না। বিশেষ করে বিভিন্ন ফসল যেমন কম দামে বিক্রি করতে হয়। তেমনিভাবে ভাড়াও গুনতে দ্বিগুণ। এলাকাবাসীর দীর্ঘ দিনের প্রতিক্ষিত কাঁচা রাস্তাটির সমস্যা সমাধানে নেয়া হয়নি কোন কার্যকরী পদক্ষেপ। বিভিন্ন সময়ে জনপ্রতিনিধিরা রাস্তা পাকা করনের প্রতিশ্রতি দিলেও তা বাস্তবায়ন হয়নি।এলাকাবাসীরা আরো জানান, স্বাধীনতার ৫০ বছর পার হলেও গ্রামীণ এই কাঁচা রাস্তাটিতে লাগেনি আধুনিকতার কোন ছোঁয়া। এই রাস্তার চেয়েও অপ্রয়োজনীয় অনেক রাস্তা পাকাকরন হলেও এটি অবহেলায় পরে রয়েছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কাছে বারবার রাস্তাটি পাকা করনের জন্য র্ধনা দিলেও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। উপজেলা প্রকৌশলী মো: আবু সায়েদ বলেন, রাস্তাটি বিষয়ে আমার জানা নেই। রাস্তাটি সরেজমিনে দেখে প্রয়োজন বুঝে পাকাকরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD