আবুল কালাম আজাদ।।
নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় এবারে ৩০ হাজার ৫৪৬ টি পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছ। গতবছর ২০২০ সালে কোরবানি দেওয়া হয়েছিল ২৩ হাজার পশু। গতবছরের চেয়ে এ বছরে সাড়ে ৭ হাজার পশু কোরবানি বেশী হয়েছে। এ তথ্য গুরুদাসপুর প্রানিসম্পদ অফিসের।গুরুদাসপুর উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিসার ডাঃ গোলাম মস্তোফা জানান – এবছরে উপজেলায় ২৮ হাজার কোরবানির পশুর চাহিদার বিপরীতে ২৩ হাজার খামারি ৯৩ হাজারটি পশু( গরু ৩৩ হাজার এবং ছাগল / ভেড়া ৬০ হাজার) কোরবানির জন্যে প্রস্তুত করেন। চাহিদার চেয়ে আরো ৬৫ হাজার অতিরিক্ত কোরবানির পশু বানিজ্যিকভাবে প্রস্তত করা হয়। প্রানি সম্পদ অফিসের তত্বাবধানে ভ্যাটারনারি চিকিতসক ,কর্মী এবং স্বেচ্ছাসেবি কর্মি দিয়ে পশুর চিকিতসা সেবা,রক্ষনাবেক্ষন ও পরিচর্যায় সহযোগিতা দেওয়া হয়েছে।
অতিমারি করোনাকালিন সংক্রমন প্রতিরোধে দেশব্যাপী কঠোর লকডাউনের মধ্যে উপ জেলার ভিতরে এবং বাহিরের জেলায় এবার হাট বসিয়ে কোরবানির পশু বিক্রি করা যাবে কিনা প্রস্তুতকৃত কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন প্রানিসম্পদ বিভাগ, খামারি ও ব্যবসায়ীরা।এই আশংকায় সরকারি এবং বেসরকারিভাবে গড়ে উঠে অনেকগুলো অনলাইন প্লাটফর্ম।উপজেলা প্রানিসম্পদ অফিসার জানান- অনলাইন প্লাটফর্মে ২ হাজার ৫৫০ টি ( গরু/ মহিষ ১২৪০ টি এবং ছাগল/ ভেড়া ১৩১০ টি) কোরবানির পশু বিক্রি হয়েছ। এবছরে কোরবানির জন্যে প্রস্ততকৃত ৯৩ হাজার পশুর মধ্যে ৫৩৮০ টি ( গরু/ মহিষ ২২৮০ টি এবং ছাগল/ ভেড়া ৩১০০ টি) অবিক্রিত আছে।এবারে কোরবানির পরিমান বাড়ার কারন হিসেবে প্রনিসম্পদ অফিসার বলেন-মানুষের ধর্মীয় অনুভুতি – বিশ্বাস এবং ক্রয়ের সক্ষমতা বেড়েছ। এছাড়া পরিবারের পৃথকিকরনও বেড়েছে। সেদিক থকে বাজেটও বাড়ার অন্যতম কারন।