টাকা আদায় বন্ধ পুলিশের হস্তক্ষেপে

Spread the love

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহর বড়াল নদীতে বাঁশের সাঁকো পারাপারে টাকা আদায় পুলিশের হস্তক্ষেপে বন্ধ হলো। ঘটনাটি জানাজানি হলে পুলিশ এসে অটোভ্যান, মোটসাইকেল আরোহীসহ পথচারীদের কাছ থেকে টাকা আদায় বন্ধ করে দেন। জানা গেছে, পৌরসদরের বিলচলন ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের যোগাযোগের জন্য নতুন বাজার খেয়াঘাটে এলাবাসীর উদ্যোগে তৈরি করা হয়েছে বাঁশের সাঁকো। এখানে ব্রিজ নির্মাণ চলমান রয়েছে। কিন্তু নদীতে বর্ষার পানি আসায় মানুষ ও যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নদী পারাপারে কোন বিকল্প ব্যবস্থা না করায় এলাকাবাসী বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। সেতুটি তৈরি হওয়ার পর থেকেই নদী পারাপাকারীদের কাছ থেকে জনপ্রতি ১০ টাকা হারে টাকা আদায় করা হচ্ছিল।
ঈদের দিন থেকে টাকা আদায়ের পরিমাণ বেড়ে যায়। একজন ব্যক্তি যতবার বাঁশের সাঁকো দিয়ে পার হবে, ততবারই ১০ টাকা করে আদায় করা হয়। এলাকার এলাকার কতিপয় ব্যক্তি এই কাজের সাথে জড়িত ছিল। বিষয়টি চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ জানতে পারেন। চাটমোহর থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন নতুন বাজার খেয়াঘাটে গিয়ে বাঁশের সেতুর উপর দিয়ে পারাপারে টাকা আদায় বন্ধ করে দেন। এসময় বিলচলন ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
থানার ওসি বলেন, কোন অবৈধ কর্মকান্ড চলতে দেওয়া হবে না। উপজেলা বা জেলা প্রশাসন যদি অনুমোদন দেয়, তাহলে আইন অনুযায়ী টোল আদায় করা যেতে পারে। ব্যক্তিগতভাবে টাকা আদায়ের সুযোগ নেই। তাই টাকা আদায় বন্ধ করা হয়েছে।উল্লেখ্য, বড়াল নদীর এপার পৌরসভা আর ওপার বিলচলন ইউনিয়ন। বিলচলন ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের মানুষের পৌর সদরে যাতায়াত করতে বড়াল নদী পারাপার হতে হয়। ১৯৮৮ সাথে এই নতুন বাজার খেয়াঘাটে বড়াল নদীতে ক্রস বাঁধ দেয়া হয়। সেই থেকে মানুষ আর যানবাহন অবাধে চলাচল করে।
সম্প্রতি নদীর ক্রস বাঁধ অপসারণ করা হয়। এরপর যাতায়াতের জন্য একটি কাঠের ব্রিজ নির্মাণ করে মানুষ ছোট যানবাহন চলাচল করে। কিন্তু এখানে একটি ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হওয়ায় কাঠের সেতুটি ভেঙ্গে ফেলা হয়। আবারও ভোগান্তিতে পরে সাধারণ মানুষ। কয়েকটি গ্রামের সাথে পৌর এলাকার মিলনস্থল হয়ে ওঠা খেয়াঘাট এলাকার দুই পারে গড়ে উঠেছে ব্যাংক, মিল, নানা ধরণের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। এছাড়া খেয়াঘাটে গড়ে উঠা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো জনশুন্যে হয়ে পড়ে। নানাবিধ সমস্যার মাঝে গ্রামবাসীর উদ্যোগে তৈরি করা হয় বাঁশের সাঁকো।

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD