তাড়াশে সরকারি পুকুর গিলে খাচ্ছে মানুষের ঘর বাড়ি

Spread the love

মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ :

সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায় নওগাঁ ইউনিয়নে মহেশরৌহালী গ্রামে প্রায় ৬০ বিঘা পুকুর আছে এই পুকুর গুলো প্রায় অনুমানিক বয়স হবে প্রায় ১৫০ বছর এরং তারও বেশি হতে পারে, তার মধ‍্যে একটি পুকুর ৩০ বিঘা। এই পুকুর গুলো সবি সরকারের আওতাভুক্ত যাহা ভুমিহীন ব‍্যক্তিদের জন‍্য সরকারের পক্ষ থেকে বরাদ্দ করা হয়েছে এবং সরকার এমন কিছু নিয়মকানুন দিয়েছে যে যাদের বাড়ি পুকুরের পারে তারাই এই পুকুরের অংশীদার হতে পারবে। এভাবেই সরকারের নিয়মনুসারে মহেশরৌহালী গ্রামের দিঘি নামের ৩০ বিঘা পুকুরটি ভুমিহীন ব‍্যক্তিরা পরিচালনা করে আসছে, কিন্তুু অতি দুঃখের সাথে জানাচ্ছি যে আমরা চলন বিলের মধ‍্যে বসবাস করি পুকুরের চার পাশে বর্ষার পানিতে ঘিরে আছে চার দিক থেকে ঢেউ এসে যেমন ভুমিহীন মানুষের ঘর বাড়ি কেরে নিচ্ছে,তেমনি পুকুরের পারের ভুমিহীন মানুষের বসতি বাড়ি গিলে খাচ্ছে সরকারি এই ৩০ বিঘা দিঘি পুকুর। সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে ভুমিহীন মোঃ আবুসমার দুটি ঘর ভেঙ্গে পরে আছে দিঘি পুকুরের মধ‍্যে তোফাজ্জাল হোসেনের ঘর গিলে খাচ্ছে দিঘি পুকুর,আব্দুল মোল্লার ঘর পরে যাচ্ছে দিঘি পুকুরের মধ‍্যে,রবিয়ালের ঘর পরে যাচ্ছে এই পুকুরের মধ‍্যে, এমনি করে গননা করলে দেখা যাবে প্রায় অর্ধশত ঘর পুকুরের পানির প্রচন্ড ঢেউয়ে ঘর বাড়ি সহ আম গাছ,কাঁঠাল গাছ,বাঁশ ঝার,গোয়াল ঘর, হ‍াসের হ‍্যাচারী ঘর সহ গিলে খাচ্ছে এই দিঘি পুকুর। সরকারের পক্ষ থেকে প্রত‍্যেক বছর পুকুটি সস্কার করার জন‍্য মৎস‍্য অফিসার সহ ইঞ্জিনিয়ার এসে পুকুরটির মধ‍্যে নেমে ফিতা দিয়ে মেপে সমস্ত কিছু করে নিয়ে যায় কিন্তুু পরবর্তীতে কোন কাজ করা হয় না,কেন করা হয় না কি জন‍্য হয় না ইউনিয়নের চেয়ারম্যান থেকে শুরু করে এম পি মহোদয় বরাবর ভুমিহীন মানুষ বাঁচার জন‍্য সংগ্রাম করে আসছে কিন্তুু এখনো পর্যন্ত কোন ফল পাওয়া যায় নি। এ বিষয় প্রশাসনেকে দৃষ্টি দিতে হবে, টিওনোকে দৃষ্টি দিতে হবে,মৎস‍্য অফিসারকে দৃষ্টি দিতে হবে তানা হলে এই ভুমিহীন,অসহায়,গরিব মানুষ গুলোর বেঁচে থাকার জন‍্য মাথা গোজার জন‍্য ঠাই থাকবে না।

 

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD