আবুল কালাম আজাদ : নাটোর দেশের অন্যতম চামড়ার বৃহত্তম বাজার।করোনা মহামারীর কারনে লকডাউন দীর্ঘায়িত হওয়ায় গত বছরের ন্যায় এবারো মৌসুমী চামড়া ব্যবসায়ীরা লোকসান দিয় চামড়া বিক্রী করতে বাধ্য হচ্ছেন। মৌসুমী ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেটকে দায়ী করছেন। কিন্তু আড়ত মালিকরা দাবী করছেন,ট্যানারি মালিকদের কাছ থেকে ৬০ থেকে ৬৫ কোটি টাকা বকেয়া পাওনা পরিশোধসহ এবারে নগদ টাকায় চামড়া কিনছেন। এ ছাড়া চামড়া পাচার রোধে নেওয়া হয়েছে পুলিশের কঠোর নজরদারী।নাটোরের আড়তগুলোতে গত ২১ জুলাই বুধবার কোরবানির পর থেকে উত্তরবঙ্গের ১৬ টি জেলার চামড় আসতে শুরু করেছে। কিন্তু কাঁচা চামড়ার আমদানি ভালো হলেও বাজার সিন্ডিকেটের নিয়ন্ত্রনে থাকায় দাম নিয়ে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ীরা চরমভাবে হতাশায় আছেন।মৌসুমি ব্যবসায়ীরা বলছেন-নাটোরের চামড়া ব্যবসায়ীরা বেশিদামে চামড়া কিনতে বলে এখন কম দাম বলছে। এতে মৌসুমি চামড়া ব্যবসায়ী লোকসানে পড়েছেন । এছড়া তারা খসির চামড়া কিনছেনা। কিনলেও প্রতি পিস চামড়া ১৫/২০ টাকা দাম বলছে।অথচ তার চেয়ে বেশী দাম দিয়ে কেনা হয়েছে।
নাটোরের কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির উপদেষ্টা মঞ্জরুল আলম হিরু জানান-ট্যানারি মালিকদের কাছে ব্যবসায়ীদের ৬০ থেকে ৬৫ কোটি টাকা বিগত দিনের বকেয়া পড়ে আছে।এবার করোনা মহামারির সময় দীর্ঘ লকডাউনে নতুন করে বকেয়া না করে নগদ টাকায় চামড়া কেনা হচ্ছে। সরকার নির্ধারিত দরের মধ্যে চামড়া কেনা বেচা হচ্ছে। তাছাড়া ব্যবসায়ীরা ঠিকমত টাকা না পাওয়ার কারণে চামড়া ক্রয় করতে পারছেনা বলে জানান, নাটোর কাঁচা চামড়া ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শরিফুল ইসলাম শরীফ।এবার নাটোরে গরু /মিহিষ আড়াই থেকে তিন লাখ এবং খাসি-ছাগল ৫থেকে ৭লাখ পিস চামড়া আমদানির আশা করছেন ব্যবসায়ীরা ।চামড়া পাচার রোধে কাজ করছে ভ্রাম্যমান আদালত। নাটোর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে খোলা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। নাটোরের চামড়ার বাজার পরিদর্শন করেছেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ এবং পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা। চামড়া যাতে পাচার হতে না পারে, সেজন্য পুলিশ সদস্যরা সর্বদা প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার ।