সলঙ্গা (সিরাজগঞ্জ)থেকে ফারুক আহমেদঃ
সিরাজগঞ্জেন সলঙ্গাতে টাকার অভাবে মসজিদ নির্মাণে ব্যহত।
জানাযায়, সিরাজগঞ্জ জেলার রায়গঞ্জ উপজেলা সলঙ্গা থানার ৩নং ধুবিল ইউনিয়নের ২নং ওর্য়াড আমশড়া দক্ষিণ পূর্বপাড়া মসজিদটি ১৯১২সালে ৮ শতক জমির উপর ভাঙ্গা জরাজীর্ণ টিনসেট ঘর প্রতিষ্ঠিত ছিল। বর্তমানে মসজিটির দিন দিন মুসল্লীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পেলে মসজিদ কর্তিপক্ষ মসজিদটি ভেঙে বৃদ্ধির জন্য তাদের কৌটার টাকা দিয়ে দুই বছর আগে মসজিদের ১২টি কলামের কাজ সম্পর্ণ করা হলেও বাকী কাজ অর্থের অভাবে আপাতত বন্ধ আছে। যদি কোন ধর্মপ্রাণ মুসলীম নর/নারী তদন্ত পূর্বক আপনাদের বিন্দু বিন্দু দানের সাহায্যে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলে হয়তো মসজিটির কাজ সম্পৃর্ণ করা যেতো।
পবিত্র কোরআনে সূরা জিনের ১৮ নম্বন আয়াতে মহানআল্লাহ আ’তালা বলেন,মসজিদ মূলত আল্লাহর ঘর। মুসলিম শরিফের ১৫৬০ নম্বর হাদীসে রাসূল (সাঃ) বলেন, আল্লাহর কাছে সর্বোত্তম জায়গা মসজিদ,আর সবচেয়ে নিকৃষ্ট জায়গা বাজার। মুসলিম উম্মাহর কাছে অত্যান্ত প্রিয় ও মর্যাদাপূর্ণ স্থান মসজিদ। তাই মসজিদের সঙ্গে মুসলিম উম্মাহর হৃদয় ও আত্মার সম্পর্ক।
আল্লাহর ঘর মসজিদ নির্মাণ, মেরামত, সংস্কার এবং এতে দান-সাহায্য করা মুসলিমদের কাছে অত্যন্ত আবেগ ও গৌরবের বিষয়। তাই তো পৃথিবীজুড়ে হাজারো লাখো দৃষ্টিনন্দন মসজিদ গড়ে উঠেছে মুসলিমদের স্বতঃস্ফূর্ত দানকৃত অর্থ-সম্পদে। আল্লাহ এর জন্য পুরস্কারও ঘোষণা করেছেন।মুসলিম শরিফে ১২১৮ ও শুয়াকুল ঈমানের ২৯৩৯ হাদিসে এসেছে, রাসুল (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি আল্লাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করল, আল্লাহ তার জন্য জান্নাতে ঘর নির্মাণ করবেন।
মসজিদ নির্মাণ করাকে হাদিসে সদকায়ে জারিয়া, অর্থাৎ চলমান সদকা হিসেবে অভিহিত করা হয়েছে। মসজিদ নির্মাণের জন্য দান করলে, যতদিন এই মসজিদে মানুষ ইবাদত বন্দিগী করবে ততদিন এর সওয়াব (কবরে বসেও) বান্দা পেতে থাকবেন। মসজিদ নির্মাণের পাশাপাশি মসজিদে ফ্যান দেওয়া, লাইট ব্যবস্থা করা কিংবা মসজিদের এসি ইত্যাদি ব্যবস্থা করে দিলেও এ সওয়াব পেতে থাকবে দানকারী।
আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘একজন মুমিন ব্যক্তির মৃত্যুর পর তার আমলনামায় যা থেকে নেকি যোগ হবে তা হলো যদি সে শিক্ষা অর্জনের পর তা অপরকে শিক্ষা দেয় ও প্রচার করে, অথবা সৎ সন্তান রেখে যায়, অথবা ভালো বই রেখে যায়, অথবা মসজিদ নির্মাণ করে যায়, অথবা মুসাফিরের জন্য মেহমানখানা নির্মাণ করে যায, অথবা নদী খনন করে যায়।’ (ইবনে মাজা : ২৪২)
এতে বোঝে যায় যে,খাঁটি নিয়তে কেবল আল্লাহর জন্য মসজিদ নির্মাণ করে গেলে কবরে বসে বসে এসব আমলের সওয়াব পেতে থাকবে বান্দা। তাই সাধ্যমতো বেশি থেকে বেশি মসজিদ নির্মাণ ও সংস্কারে জান-মাল দিয়ে সহায়তা করা। মসজিদ কুমুটির সভাপতি সাইফুল ইসলাম এই প্রতিনিধিকে জানান যে, আমাদের মহল্লার মানুষ দরিদ্র অসহায় ও অবহেলিত তবুও তাদের কিছু দান সদাকা ও মসজিদের কৌউটার টাকার বিনিময়ে ১২টি পিলিআরের কাজ সম্পর্ণ করা হলেও বাকী কাজ টাকার অভাবে অসম্পূর্ণ রয়েছে। বাকী কাজ না হওয়ায় মহল্লার মুসল্লীরাসহ রাস্তায় চলাচলের মুসল্লীদের সালাত পড়ারিতিমতো অসুবিধা হয়েছে। যদি কোন দানোবীর আমার এই আমশড়া দক্ষিন পূর্ব পাড়া জামে’মসজিদটির নির্মাণে সাহায্য সহযোগিতা করলে হয়তো মুছুল্লীদের সালাত পড়া সহজ হবে। যদি কোন হৃদয় মান মুসলিম নর-নারী দানোবীর মসজিদটির নির্মাণে সাহায্য সহযোগিতা করতে চান তাহা হলে মসজিদ কতৃর্পক্ষের বিকাশ নম্বররে টাকা পাঠিয়ে সাহায্য সহযোগিতা করতে পারেন।