চাহিদা ২৮ হাজার উদ্বৃত্ত ৬৫ হাজার
আবুল কালাম আজাদ : নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলায় আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে বিক্রির জন্য ৯৩ হাজার কোরবানির পশু প্রস্তুত করেছেন খামারিরা। অতিমারি করোনাকালিন সংক্রমন প্রতিরোধে দেশব্যাপী ক্টহোর লকডাউনের মধ্যে উপ জেলার ভিতরে এবং বাহিরের জেলায় এবার হাট বসিয়ে কোরবানির পশু বিক্রি করা যাবে কিনা এই আশংকায় গড়ে উঠেছে অনেকগুলো অনলাইন প্লাটফর্ম। এতে প্রস্তুতকৃত কোরবানির পশু বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন খামারি ও ব্যবসায়ীরা।
গুরুদাসপুর উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ গোলাম মোস্তফা জানান-৯৩হাজার কোরবানির পশু মধ্যে ৩৩ হাজার গরু ও মহিষ,( ষাঁড় ১৯ হাজার) ৬০ ছাগল ও ভেড়া। এসব পশুর বাজারমূল্য অন্তত ৪০০ কোটি টাকা। এবার গুরুদাসপুর উপ জেলায় প্রায় ২৮হাজার কোরবানির পশু জবাই হবে বলে আশা করছে উপজেলা প্রাণী সম্পদ বিভাগ। এবারে গুরুদাসপুর উপজেলায় চাহিদার চেয়ে অতিরিক্ত আরও ৬৫ হাজার পশু কোরবানির জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে,। উপজেলায় মোট খামারির সংখ্যা ২৩ হাজার । এর মধ্যে বানিজ্যিক খামার ৮১ টি।
গত বছর কোরবানির পশুর চাহিদা ছিল ২৩ হাজার। কোরবানির জন্য প্রস্তুত ছিল প্রায় ৮০ হাজার , যা চাহিদার চেয়ে ৫৭ হাজার বেশী। উপজেলা প্রানিসম্পদ বিভাগ থেকে জানা যায়- গত বছরের চাহিদার তুলনায় এবারের চাহিদা ৫ হজার বেশি এবং গত বছরের তুলনায় এবারের কোরবানির জন্য ১৫ হাজার বেশি পশু প্রস্তুত ।নাটোর জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, সরকারি ব্যবস্থাপনায় ইতোমধ্যে নাটোর জেলায় পশুর হাট ও অনলাইন ডিজিটাল পশুর হাটসহ ৯টি অনলাইন প্লাটফর্ম তাদের কাজ শুরু করেছে। আরও কয়েকটি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ ছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে কোরবানির পশু কেনাবেচার জন্য গড়ে উঠেছে অসংখ্য অনলাইন প্লাটফর্ম। যেগুলো থেকে ক্রেতা সহজেই পশু পছন্দ করে কিনতে পারছেন ।