মোঃ মুন্না হুসাইন তাড়াশ :
তাড়াশে চলন বিলে অবাধে শিকার হচ্ছে টাকির পোনা,শোলের পোনা,শিং মাছের পোনা,ও জাপানীর পোনা সহ বিভিন্ন জাতের পোনা অবাধে নিধন করা হচ্ছে । নিশেধাজ্ঞা অমান্য করে এ অঞ্চলের জেলেরা মাছ শিকার করলেও তা নজরে আসছে না প্রশাসনের। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের মাঠ কর্মকর্তারা মনোযোগী থাকায় খাল বিলে,অভিযান বন্ধ থাকার সুযোগ কাজে লাগাচ্ছেন জেলেরা।তাড়াশের মহেশরৌহালীর বিলে,নওগাঁর বিলে,বাঘল বাড়ির বিলে,দোবিলার বিলে,হামকুড়িয়ার বিলে,নাদোসৈয়দপুর বিলে,তাড়াশের বিলে,বিনোতপুর বিলে,অবাধে চলছে টাকি পোনা,ও শোলের পোনা সহ বিভিন্ন জাতের মাছ নিধন করা হচ্ছে।আর এসব মাছ তাড়াশের বিভিন্ন বিলে নগরীসহ সর্বত্র নিধন হচ্ছে। করোনাভাইরাস সংক্রমণ মোকাবিলায় স্থানীয় প্রশাসনের মাঠ কর্মকর্তারা এখন বেশি মনোযোগী থাকায় খাল-বিলে অভিযান বন্ধ রয়েছে। এ সুযোগে ব্যাপকহ ভাবে পোনা নিধন হচ্ছে।মৎস্য অধিদপ্তর এ তথ্য স্বীকার করে জানিয়েছে, করোনার কারণে অভিযান ব্যাহত হওয়ার সুযোগ নিচ্ছেন জেলেরা। মঙ্গালবার (১৩ এপ্রিল) নগরীর নতুনবাজার-সংলগ্ন স্থানে এক ব্যক্তিকে দেখা গেল কয়েকটি ঝাঁকাভর্তি ছোট ছোট মাছের পোনা বিক্রি করতে। ওই মাছ বিক্রেতার দাবি, এগুলো ছাকনা জালির মাছ। তবে আশপাশের পথচারীরা নিশ্চিত করেন, এ মাছগুলো বিভিন্ন জাতের মাছের পোনা।তাড়াশের মৎস্য কর্মকর্তা মেজবুল আহম্মাদ বলেন, এ অঞ্চলের খাল বিলে বিভিন্ন জাতের পোনা নিধন হচ্ছে করোনা ভাইরাসের কারনে জেলেরা সুযোগ নিচ্ছে।
তাড়াশের মৎস্য অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, জাটকা (১০ রকম আকৃতির ) রক্ষায় তা নিধনে ১ নভেম্বর থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা চলছে। এর পাশাপাশি দেশের পাঁচটি পোনা নিধনে অভয়াশ্রমে গত ১ মার্চ থেকে শুরু হয়েছে সব ধরনের মাছ নিধনে দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা, যা শেষ হবে আগামী ৩০ এপ্রিল। নিষেধাজ্ঞা পালনে কার্ডধারী প্রত্যেক জেলেকে চার মাস ৪০ কেজি করে চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। এরই মধ্যে দুই মাসের বরাদ্দ বিতরণ চলমান রয়েছে।তাড়াশ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মেজবুল আহম্মাদ বলেন, করোনার কারণে কারও তো ঘরের বাইরে বের হওয়ার কথা নয়। করোনা আতঙ্কে অভিযান অনেকটা শিথিল হওয়ায় সুযোগ নিচ্ছে একটি শ্রেণি।