এম এ মাজিদ,তাড়াশ থেকে :
আসন্ন ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে কোরবানীর গরু নিয়ে দুঃশ্চিন্তায় পরেছে চলনবিলের গরু খামারীরা। কোরবানীর গরু বিক্রয় ও ক্ষতির শঙ্কায় আছেন তারা । মহামারি করোনার কারণে চলমান লকডাউনের ফলে শঙ্কা আর দুঃশ্চিন্তায় পড়েছেন গরু খামারীরা।
সরেজমিনে ও সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, এবছর চলনবিলের সিংড়া উপজেলা ১২টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভায় ছোট বড় খামার এবং ব্যক্তি উদ্দ্যেগ থেকে প্রায় অর্ধলক্ষ গরু মোটাতাজা করে কোরবানীর জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। যা আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে বিক্রয় করা হবে। তবে চলমান লকডাউনের কারনে সঠিক সময়ে ন্যায্য দামে বিক্রয় করতে পারবেন কিনা এই শঙ্কা করছেন গরুর মালিক ও খামারীরা।
খামারীরা জানায়, প্রতিবছর ঈদের ২০ থেকে ২৫ দিন আগে থেকেই ঢাকার ব্যাবসায়ীরা খামার ও গরু মালিকের বাড়ি বাড়ি এসে গরু কিনেন। করোনার কারনে চলমান লকডাউনের ফলে ব্যাবসায়ীরা আসতে না পাড়ায় এবছর সেই কেনা বেচা নাই। অন্যান্য বছর এসময়ে চলনবিল এলাকায় ব্যবসায়ীরা আনাগোনা শুরু করেন। কোরবানীর আর মাত্র ১২ দিন বাঁকি অথচ এখুন পর্যন্তÍ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে কোন ব্যবসায়ীরাই আসেন নাই। উপজোলার পেট্রোবাংলা পয়েন্টের রুপন ডেইরী ফার্মের পরিচালনক মাসুদ রানা জানায়,আমার খামারে সিদ্ধি,শাহীওয়াল,বার্মা ও দেশী জাতের ২১টি গরু আছ্।ে গরুর ছবি ও ভিডিও অনলাইনে বিক্রয়ের চাহিদা দিয়েছি। কিন্ত কোন সাড়া পাচ্ছিনা। কান্তনগর গ্রামের আনছার আলী জানায়,আমার দুটি দেশী জাতের গরু আছে। বাড়িতে এসে স্থানীয় কয়েকজন দাম দর করে গেছেন। কিন্তু তারা যে দাম করেছেন বাজার মুল্যের অর্ধেক। ওই দামে বিক্রি করলে লোকশান গুনতে হবে। ডাহিয়া গ্রামের মুক্তার হোসেন জানায়,প্রতিবছর আমরা স্থানীয়ভাবে কোরবানীর পশুর হাটে গরু নিয়ে যাই এবং সেখানে উন্মুক্ত ভাবে দাম দর যাচাই বাছাই করি। তার পর বাজার বুঝে বিক্রয় করি। এবছর লকডাউনের কারনে প্রশাসন হটি বন্ধ করে দেওয়ায় গরু বিক্রি নিয়ে চরম দুঃশ্চিন্তায় পরেছি।
চলনবিলের তাড়াশ উপজেলার কাজিপুর গ্রামের খামারী আরহাজ আবাুল কালাম আজাদ জানায়, আসন্ন কোরবানী উপলক্ষে ১০ টি বড় জাতের গরু পালন করেছিলাম। সেই গরু বিক্রি নিয়ে বিপাকে পরেছি। তিনি আরো জানায়,দু’একজন ক্রেতা খামারে আসলেও তারা আশানুরুপ দাম না বলায় গরু বিক্রি করতে পারছি না।গুরমা গ্রামের খামারী তোকিবুল্লাহ জানায়, কোরবানীর হাটে বেশি দামে বিক্রির আশায় ৫ টি বড় জাতের ষাঁড় গরু গত দুই বছর ধরে মোটাতাজা করেছি। গরুর হাট বন্ধ হওয়ায় সেই আশায় গুরেবালু।
চলনবিলের সিংড়া উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ খুরসিদ আলম বলেন, প্রায় ১০ দিন আগে খামারীদের গরুর ছবি,নাম ঠিকানা,মোবাইল নম্বর দিয়ে সিংড়া অনলাইন কোরবানীর পশুর হাট নামে ফেসবুক পেইজে গরু বেচা কেনার ব্যবস্থা করেছি। ইচ্ছে করলে যে কোন ক্রেতা বিক্রেতা এখানে চাহিদা মত কোরবানীর গরু কেনা বেচা করতে পারবেন। তিনি আরো জানান, ১৪ জুলইয়ের পর করোনা ভাইরাস নিয়ন্ত্রনে এলে সরকার খোলা মাঠে হাটের অনুমোতি দিলে ওই সময়ে ক্রেতা-বেক্রেতারা তাদের চাহিদামত কেনা বেচা করতে পারবে।