চার্জশিট সূত্রে জানা যায়, ২০১০ সালের ৮ অক্টোবর কেন্দ্র ঘোষিত বিক্ষোভ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বনপাড়া বাজারে সানাউল্লাহ নুর বাবুর নেতৃত্বে বিক্ষোভ মিছিল চলছিল। এসময় মিছিলে সন্ত্রাসী হামলায় সানাউল্লাহ নুর বাবুসহ বিএনপির বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন। পরে বিকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাবু মারা যান।পরদিন সানাউল্লাহ নুর বাবুর স্ত্রী মহুয়া নুর কচি বাদী হয়ে থানায় প্রথমে বর্তমান বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেনকে প্রধান আসামি করে ২৭ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে আদালতের মাধ্যমে সংযোজনের আদেশ নিয়ে আরো ১৮ জন মিলিয়ে মামলায় সর্বমোট ৪৫ জনকে আসামি করা হয়। দীর্ঘ ১২ বছরে দফায় দফায় তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তনের পর অবশেষে মঙ্গলবার আদালতে এই হত্যা মামলার চার্জশিট দেওয়া হলো।
চার্জশিটভুক্ত আসামিদের মধ্যে বনপাড়া পৌর মেয়র কেএম জাকির হোসেন, তার সহোদর কে এম জামিল হোসেন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি কে এম জিল্লুর রহমান জিন্নাহ, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মোয়াজ্জেম হোসেন বাবলু, মাসুদ সোনার, সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান খোকন মোল্লা, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজাউল করিম রিকোন, ওয়ার্ড কাউন্সিলর আশরাফুল ইসলাম মিঠু, হাবিব, আব্দুল মোমিন, বাবলু মোল্লা, লুৎফর রহমান, বাবু ও জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা সম্পাদক অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক, সেলিম, হাসেম, হাসেম-২, গৌতম ঘোষ, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সরদার, সৈকত, রিপন সোনার, মালেক, মাহবুব ও জনি অন্যতম।
মামলার বাদী মহুয়া নুর কচি বলেন, দীর্ঘ সময় পরে হলেও মামলার চার্জশিট জমা দেওয়ায় আমি সিআইডির কর্মকর্তাদের ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি আদালতের কাছে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমার স্বামী হত্যার বিচার চাই।
|