মোঃ শাহ আলম : বিলে পানি আসতে শুরু করেছে। মাজারে ভক্তবৃন্দের পদচারনায় ক্রমশ মুখরিত হচ্ছে মাজার এলাকা। আজ থেকে প্রায় ৫০০ বছর পূর্বে সদুর আরব থেকে ইয়েমেন হয়ে উপমহাদেশের সাত ভাই সহ বর্তমানে বাংলাদেশের রাজশাহীতে শায়িত শাহ্মখদুম (রহঃ) এর সঙ্গে এই দেশে আগমন ঘটে বাবা ঘাশি দেওয়ান (রহঃ) এর। শাহ মখদুম, বাবা (রহঃ) সহ অগনিত শীষ্য সহ এদেশে ইসলাম প্রচারের জন্য আগমন করেন। ভক্তগনের মধ্যে কেহ বা ইসলাম প্রচার, কেহ বা মানব সেবায় আত্ম নিয়োগ করেন। এদের মধ্যে বাবা ঘাশি দেওয়ান (রহঃ) উল্লেখযোগ্য একজন। তিনি আমাদের বারো আওলিয়ার দেশ পূণ্য¯œাত ভূমি চলনবিলের মধ্যে এসে মানব সেবায় ও ইসলাম প্রচারে আত্ম নিয়োগ করেন। এখানে তার আগমনের কারন ছিলো ঐশি বাণী ও শাহ মখদুম বাবার নির্দেশ। রাজশাহী জেলার অর্ন্তগত নাটোরের সিংড়া থানার মধ্যে সাত পুকুরিয়া হিজলি ও ডাহিয়ার মাঝখানে এসে উপস্থিত হন। এবং ঘুরতে ঘুরতে চলনবিলের মধ্যে তিনি তিল তিসির ভূমিতে উপস্থিত হন। কথিত আছে হঠাৎ কি ফসল তা পরীক্ষা করার জন্য একটি তিল মুখে দেন। সঙ্গে সঙ্গে ঐশি বাণী এলো, হে মহাপুরুষ তুমি কার জমির ফসল খেয়ে নিলে? বিনা অনুমতিতে। বাবা তখন চিন্তায় পড়ে যান এবং খোঁজ করতে থাকেন জমির মালিককে। জমির মালিক ছিলো ডাহিয়া নিবাসি কালীপদ ঘোষ। বাবা তখন ব্যস্ত হয়ে তার বাড়িতে ছুটে যান এবং মাত্র একটি তিল খাওয়ার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন। বিনিময়ে তার বাড়িতে বারো বছর কাজ করার অভিপ্রায় প্রকাশ করেন। কালীপদ ঘোষ সহজে ব্যাপার খানা বুঝতে পারেন এবং শর্ত অনুসারে কাজে নিয়োগ করেন। তিনি ঘোষ মহাশয়ের বাড়িতে ঘাস কাটার কাজে নিয়োজিত হয়েছিলেন। তাই তিনি পরবর্তীতে ঘাশি দেওয়ান নামে পরিচিত হন। তার আসল নাম সম্পর্কে তেমন কোন তথ্য পাওয়া যায় নাই। তাই তিনি ঘাশি দেওয়ান নামে পরিচিত। তার অন্যান্য ভাইগন নাটোর ও সিরাজগঞ্জের বিভিন্ন জায়গায় শায়িত আছেন।