সুজন কুমার মাল:
মোবাইল ফোন নিজের কাছে থাকলেও তাড়াশ উপজেলার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মোবাইল ব্যাংকিংর টাকা অজ্ঞাত কারণে উধাও হয়ে যাচ্ছে। কেননা প্রতিটি অভিভাবকদের কাছেই তাদের মোবাইল ফোন সব সময় থাকে। আর ক্যাশ আউট করতে এসে অনেক অভিভাবকরা এ অভিযোগ করেন।
এদিকে তাড়াশ বিশ্ব বিদ্যালয় কলেজের নৈশ্যপ্রহরী লুৎফর রহমান টেলি বলেন, তার সন্তান প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। সরকারী উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের অফিসে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অভিভাবকের নিজস্ব মোবাইল ফোন নম্বর সহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেন তারা। একাধিক বিদ্যালয়ের প্রধানরা জানান, আর সেই শিক্ষার্থীদের নাম, পরিচয়, মোবাইল নম্বর ইত্যাদি তথ্য তালিকা করে প্রাথমিক শিক্ষা দপ্তরে জমা দেন শিক্ষকরা । খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তারপরে শিক্ষা দপ্তর সেখান থেকে মোবাইল ব্যাংকিং নগদ র মাধ্যমে প্রতিটি শিক্ষার্থীর অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে টাকাও বিতরণ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে। অপরদিকে তাড়াশ বারোয়ারী বটতলা মোড়ে সাধনা ডিপার্টমেন্টাল স্টোরে সেই টাকা উত্তোলন করতে আসলে ব্যাবসায়ী শফিকুল ইসলাম টেলিকে বলেন, আপনার টাকা ক্যাশ আউট করা হয়েছে।
সে মোতাবেক নগদ এ্যাকাউন্টে প্রবেশ করে স্টেটমেন্টে গিয়ে দেখা যায় তার নগদ এ্যাকাউন্টে টাকাও এসেছে আবার উত্তোলনও করা হয়েছে। তবে বাটন মোবাইল হওয়ায় কোন নম্বর থেকে টাকা উত্তোলন হয়েছে সেটা জানা যাচ্ছে না কিন্ত এ্যান্ডুয়েড ফোনসেট হলে দেখা যেত। ওই ব্যাবসায়ী আরো জানান, প্রয়োজনীয় তথ্যের জন্য নগদের হেল্প লাইনেও একাধিক বার কল করা হলেও সংযোগ পাওয়া যায় না।
শুধু লুৎফর রহমান নয় তার মত অনেক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা রয়েছেন এ সমস্যায়। ফলে অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন ও দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
বিষয়টি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার দাবী জানানো হচ্ছে।