গোলাম মোস্তফা :
সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ২৪ ঘন্টার প্রায় ১০ ঘন্টাই বিদ্যুৎ থাকেনা। একবার বিদ্যুৎ চলে গেলে দুই থেকে তিন ঘন্টার আগে আর দেখা মেলেনা। এমন বিদ্যুৎ বিভ্রাটের কারণে উপজেলা জুরে জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে। দেশে লোডশেডিং বলে কিছু নেই। তারপরও কেন ঘন-ঘন বিদ্যুৎ যায়, তা নিয়ে মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘ তিন মাসেরও অধিক সময় ধরে চলছে পল্লী বিদ্যুতের এরকম ভেলকিবাজি।
তাড়াশ পৌর শহরের বাসস্ট্যান্ড এলাকার আলাল উদ্দীন নামে একজন চা দোকানী বলেন, ছ’মাস আগেও তাড়াশের বিদ্যুৎ পরিস্থিতি এমন ছিলোনা। তখন বলতে গেলে দিনি কি রাতে একবারও বিদ্যুৎ যেত না। আর ইদানিং বিদ্যুৎ না থাকা যেন নিত্য নৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঝড়-বৃষ্টি বা অন্য কোন দুর্যোগ লাগেনা, এমনিতেই আট থেকে দশ ঘন্টা বিদ্যুৎ থাকেনা। তিনি আরো বলেন, অসহনীয় গরমে মানুষজন দোকানের ভেতর বসে থাকতে পারেনা। যে কারণে তার চা বিক্রি একেবারেই কমে গেছে।
এদিকে ভুক্তভোগীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ফেসবুকেও তাড়াশে ঘন-ঘন বিদ্যুৎ যাওয়া নিয়ে বেশ লেখালেখি শুরু করেছেন। রবিবার বারুহাস ইউনিয়নের পলাশী গ্রামের ফারুক আহাম্মেদ নামে একজন তার মোহাম্মদ ফারুক আহম্মেদ নামে ফেসবুক আইডি থেকে লিখেছেন, “তাড়াশের চলমান বিদ্যুৎ সমস্যা আর কতদিন থাকবে। সমাধান আদৌ হবে কিনা জানা নেই।”
বিনসাড়া গ্রামের আবু তালহা তার আবু তালহা সরকার ফেসবুক আইডিতে লিখেছেন, “তাড়াশের বিদ্যুৎ খুঁজে পাওয়া যাচ্ছেনা। যদি কোন ব্যক্তির সন্ধান জানা থাকে তাহলে কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দিন।”
তালম ইউনিয়নের তালম পদ্মপাড়া গ্রামের সবুজ হোসেন বলেন, তাড়াশের প্রত্যন্ত গ্রাম এলাকাতে বিদ্যুৎ সমস্যা আরো প্রকট আকার ধারণ করছে। আগে বিদ্যুৎ বিভাগ গ্রাহকদের মোবাইল ফোনে এসএমএস পাঠাতো ও মাইকিং করে জানিয়ে দিত কোন দিন কি কারণে কতক্ষণ বিদ্যুৎ থাকবেনা। কিন্তু এখন সেসব কিছুই মানা হয়না। এমনিতেই দিন-রাতে চার থেকে পাঁচ বার বিদ্যুৎ চলে যায়। আর প্রতিবার দু’তিন ঘন্টা, আবার কখনো পাঁচ-ছয় ঘটাতেও আসেনা। এ প্রসঙ্গে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির তাড়াশ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আশরাফ উদ্দিন খান বলেন, দীর্ঘ ৩০ বছর পর মেইন লাইনের তার পাল্টে দেওয়া হচ্ছে। যে কারণে বিদ্যুৎ সর্বারাহ বন্ধ রাখা হয়। শিগগিরই এ কাজ শেষ হয়ে যাবে।