উল্লাপাড়ার রাজনীতিতে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ব্যারিষ্টার বাশার

Spread the love

ডাঃ আমজাদ হোসেন উল্লাপাড়া প্রতিনিধি

সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ার রাজনীতিতে এবার সবার আলোচনায় তারুন্যদিপ্ত রাজনীতিবিদ আওয়ামীলীগ নেতা ব্যারিষ্টার এবিএম আবদুল্লাহ আল মাহমুদ বাশার। তিনি গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ডেপুটি এ্যাটর্নি জেনারেল পদে দায়িত্ব পালন করছেন
ব্যারিষ্টার বাশার এখন নতুন করে উল্লাপাড়ার মানুষের আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। পবিত্র ঈদুল ফিতরে পর থেকে তিনি নিজ এলাকায় ব্যাপক গণসংযোগ করেছে। তিনি কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের দায়িত্বশীল একাধিক নেতা,সিরাজগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগ,উল্লাপাড়া উপজেলা উপজেলা আওয়ামীলীগ, ইউনিয়ন,ওয়ার্ড পর্যায়ে আওয়ামীলী ও দলীয় সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী,সেচ্ছাসেবী,সামাজিক সংগঠন সহ স্থানীয় সাংবাদিকদে সাথে পৃথক পৃথক ঈদের শুভেচ্ছা ও মত বিনিময় সভা করেছেন। ছুটে বেরিয়েছেন উপজেলার বিভিন্ন এলাকায়। এসময় তিনি উপজেলার তৃর্ণমূল নেতাকর্মী সহ বিভিন্ন এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে তাদের সুবিধা অসুবিধার কথা শোনেন। তিনি জেনেছেন এখানকার রাজনীতির বর্তমান সময়ের চালচিত্র। শুনেছেন নেতাকর্মী সহ মানুষের সুখ দুঃখ,সমস্য সম্ভাবনা এবং উন্নয়নের কথা। কর্মব্যস্থতার মধ্যে এবারই তিনি লম্বা সময় নিয়ে এলাকায় গণসংযোগ করলেন। দীর্ঘদিন ধরে তিনি সিরাজগঞ্জ জেলা সহ নিজ উপজেলা উল্লাপাড়ার মানুষের নানা বিপদে আপদে পাশে দাড়িয়েছেন।

একজন মেধাবী, সৎ ও পরিচ্ছন্ন মানুষ হিসেবে ইতিমধ্যে তিনি মানুষের ভালোবাসা অর্জন করেছেন। তার গণসংযোগের পরই সিরাজগঞ্জ জেলা,উল্লাপাড়ার রাজনৈতিক মহল সহ সাধারন মানুষের মাঝে নানা আলোচনা চলছে। সাধারন মানুষের মাঝে বলাবলি হচ্ছে উচ্চ শিক্ষিত ক্লিন ইমেজের হেভীওয়েট এই বিজ্ঞ আইনজীবী কি তাহলে সামনের সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী হচ্ছেন??? সামনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি দলীয় মনোনয়ন দাবী করলে অনেক সম্ভাব্য প্রার্থীর কপাল পুড়তে পারে। উল্লাপাড়ার তৃর্ণমূল রাজনীতিতে তার এই পদচারনা নতুন হিসাব নিকাশ শুরু হয়েছে।খোঁজ নিয়ে জানা যায়,বনাঢ্য কর্মময় ও রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী এই তারুন্যদিপ্ত আওয়ামীলীগ নেতা উল্লাপাড়ার ঝিকিড়া মহল্লার আলহাজ্ব মোহাম্মদ আলী ও আলহাজ্ব জামিলা খাতুন এর একমাত্র পুত্র। তিনি ১৯৭৭ সালের ৭ই সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস উল্লাপাড়া উপজেলার বড়পাঙ্গাসী গ্রামে। তার মাতুলালয় পূর্নিমাগাঁতীতে।তিনি রাজশাহী কলেজিয়েট স্কুল থেকে ১৯৯২ সালে এসএসসি, ১৯৯৪ সালে নিউ গভ: ডিগ্রি কলেজ হতে কৃতিত্বের সাথে এইচএসসি পাশ করেন। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগ হতে ১৯৯৮ সালে এলএলবি সম্মান ও ১৯৯৯ সালে এলএলএম সাফল্যের সাথে উত্তীর্ণ হন। অধ্যয়ন শেষে তিনি ২০০২ সালে আইনজীবী হিসাবে সনদপ্রাপ্ত হন এবং ২০০৪ সালে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের তালিকাভুক্ত হন।

আওয়ামীলীগ নেতা ব্যারিষ্টার বাশার ২০০১ সালে আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালীন সিরাজগঞ্জের আলোচিত পূর্ণিমা ধর্ষণ মামলা পরিচালনার জন্য ব্যারিষ্টার এম.আমিরুল ইসলামের নেতৃত্বে পঞ্চাশের অধিক দেশবরেণ্য আইনজীবী সিরাজগঞ্জ জেলা বারে নিয়ে আসেন। সাবেক সাংসদ আব্দুল লতিফ মির্জার অস্ত্র মামলা পরিচালনা করার জন্য সাবেক স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এডভোকেট সাহারা খাতুন সহ আইনজীবীর টিম সিরাজগঞ্জে নিয়ে আসেন ও রাজশাহী গমণকরে মামলায় বিজয়ী হন। আওয়ামীলীগের প্রয়াত কেন্দ্রীয় নেতা মোহাম্মদ নাসিমের ব্যক্তিগত আইনজীবি ছিলেন। তিনি মোহাম্মদ নাসিমের বিরুদ্ধে বাচ্চু হত্যা মামলা হাইকোর্ট থেকে খারিজ করান। এছাড়াও এ্যাডভোকেট নুরুল ইসলাম সুজনের জুনিয়র হিসেবে কর্মকালীন সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা পরিচালনায় সহায়তা করেছেন তিনি।২০০৬ সালে আইনজীবী হিসাবে সুপ্রিমকোর্টে কর্মরত থাকা অবস্থায় রার-এট-ল ডিগ্রি অর্জনের উদ্দেশ্যে উচ্চ শিক্ষার্থে বিলেত গমণ করেন। তিনি ইউরোপের অন্যতম বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান “London Metropolitan University” হতে উচ্চতর দ্বিতীয় শ্রেণীতে “Law, Governance and International Relations (LLB Honours)” ডিগ্রী লাভ করেন। বিশ্ববিখ্যাত “সিটি ইউনিভার্সিটি লন্ডন” হতে Bar Professional Training Course (BPTC) কৃতিত্বের সাথে পাস করেন। তিনি বিশ্বের অতি সুপ্রাচীন “Honourable Society of Inner Temple” হতে “ব্যারিষ্টার এট ল” ডিগ্রীতে ভূষিত হোন।

২০১৪ সালে ব্যারিষ্টারী ডিগ্রি অর্জন শেষে দেশে প্রত্যাবর্তন করে পুনরায় আইন পেশা শুরু করেন এবং ২০১৮ সালে গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের ডেপুটি এটর্নি জেনারেল হিসাবে নিয়োগপ্রাপ্ত হন। তিনি সারাদেশের সবচেয়ে আলোচিত ও জনগুরুত্বপূর্ণ মামলা পরিচালনা করে ইতিমধ্যে ব্যাপক সুনাম অর্জন করেন। বিশেষ করে জয় বাংলা কে জাতীয় শ্লোগান ঘোষণা, ৭ই মার্চকে জাতীয় ঐতিহাসিক দিবস ঘোষণা, সকল বিচারিক আদালতের এজলাসে জাতির পিতার প্রতিকৃতি প্রদর্শন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি নির্মাণ, সারাদেশে বঙ্গবন্ধুর মুর‍্যাল স্থাপন, বঙ্গবন্ধুর সকল ভাস্কর্যের নিরাপত্তা এবং শহীদ মিনার ও ভাষা শহীদদের মামলাসহ বহু ঐতিহাসিক মামলায় রাষ্ট্রের পক্ষে পরিচালনা করে যোগ্যতার স্বাক্ষর রাখেন এবং ইতিহাসের অংশ হয়েছেন।উল্লেখ্য যে, আলোচিত সকল মামলা পরিচালনা শেষে প্রেস ব্রিফিং করে দক্ষতার পরিচয় দেন এবং সারাদেশে দেশবরেণ্য আইনজীবী হিসাবে ইতিমধ্যে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেছেন। তিনি বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে এবং গণমাধ্যমে সমসাময়িক আইনগত বিষয়ে নিয়মিত সাক্ষাৎকার প্রদান করে আসছেন। এছাড়াও সাম্প্রতিক রাজনৈতিক ইস্যুতে বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে টকশোতে অংশগ্রহণ করে মিডিয়া ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছেন। তিনি একজন আইনজীবী ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসাবে নিয়মিত কলাম ও প্রবন্ধ লিখে আসছেন যা দেশের জাতীয় দৈনিকসহ বিভিন্ন সংবাদপত্র ক্রোড়পত্রে প্রকাশিত হয়ে আসছে।

ইতিপূর্বে তিনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে উজ্জীবিত হয়ে ২০০৪ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সদস্য মনোনীত হন এবং আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে থাকাকালীন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হয়রানিমূলক মিথ্যা মামলায় সহায়তার নিমিত্তে লিগ্যাল এইড পারমানেন্ট সাব কমিটির সদস্যও ছিলেন। তিনি ২০০৩ সাল থেকে অদ্যাবধি উল্লাপাড়া থানা আওয়ামী লীগের কার্যকর সদস্য এবং ২০০৫ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সুপ্রিমকোর্ট শাখার দপ্তর সম্পাদক ও ২০০৮ – ২০১৪ সালে দুই দফায় যুক্তরাজ্য আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সাংগঠনিক সম্ম্পাদকসহ বিভিন্ন পর্যায়ে গুরুত্বপূর্ণ পদে দায়িত্ব পালন করেন।ইতিমধ্যে দেশে ফিরে তিনি আবারও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হয়ে ওঠেন। ২০১৬ সালে ২০তম কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অভ্যর্থনা উপ-কমিটির সদস্য হিসাবে সম্মেলন অনুষ্ঠানে সক্রিয় সহায়তা ও বিদেশী প্রতিনিধিদের সাথে সমন্বয়ের দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৭ সালে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় উপ-কমিটি অর্থ ও পরিকল্পনা এর অন্যতম সদস্য হিসেবে অনন্য ভূমিকা রাখেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির ‘নির্বাচনী আইন ও বিধি উপ-কমিটি’ এর সদস্য মনোনীত হন। সর্বোপরি ২০২০ সালে পুনরায় আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির অভ্যর্থনা উপ-কমিটির সদস্য মনোনীত হন এবং সারাদেশের আইনজীবী টিমের প্রধান হিসাবে গুরুত্বপূর্ণ দ্বায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের স্বনামধন্য আইনজীবী ব্যারিস্টার বাশার বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের সক্রিয় সদস্য হিসাবে ভূমিকা রেখে চলেছেন।

উল্লাপাড়ার এই কৃতি সন্তান ঢাকাস্থ উল্লাপাড়া উপজেলাবাসীর সংগঠন উল্লাপাড়া সমিতি ঢাকা এর প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি দেশে-বিদেশে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখে চলেছেন।সুনামধন্য এই আইনজীবির স্ত্রী সাঈদা নাসরিন বাবলী জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক পদে কর্মরত আছেন। তিনি একমাত্র পুত্র সন্তানের জনক

Please follow and like us:
Pin Share

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Website Design, Developed & Hosted by ALL IT BD