স্টাফ রিপোর্টার : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে কীটনাশক প্রয়োগ করা পুকুরে মাছ ধরতে নেমে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুইজন শিশু শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এছাড়া সড়ক দুর্ঘটনায় আরো এক শিশু নিহত হয়েছে। শিক্ষার্থী দুজনের নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করেছেন তাড়াশ থানার ওসি ফজলে আশিক ও সড়ক দুর্ঘটনায় শিশু নিহতের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হাটিকুরুল হাইওয়ে থানার ওসি শাহজাহান আলী।
তাড়াশ থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নিহত দুই শিক্ষার্থীর নাম জান্নাতী খাতুন (১৩) ও বিথী খাতুন (১৩)। জান্নাতীর বাবার নাম শাহজাহান আলী। বিথীর বাবার নাম বাচ্চু আহমেদ। নিহতদের বাড়ি উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের ভায়াট গ্রামে। এরা দুজনেই ভায়াট ভিএস উচ্চ বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।নওগাঁ ইউনিয়নের স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার আশরাফ আলী বলেন, মঙ্গলবার ভোর বেলায় বরাত আলী নামে একজন মাছচাষী ভায়াট গ্রামের উত্তর পাড়ায় একটি পুকুরে কীটনাশক প্রয়োগ করে মাছ ধরেন। এরপর থেকে ঐ পুকুরে আরো কিছু মাছ বিষক্রিয়ায় মরে ভেসে উঠতে থাকে। তখন সেই মাছ ধরার জন্য ৫ থেকে ৭ জন পুকুরে নেমে পড়েন। কিন্তু তারা কিছুক্ষণের মধ্যেই হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। গুরুতর অসুস্থ জান্নাতী ও বিথীকে সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায়। তিনজন সিরাজগঞ্জ সদর হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন। ধারনা করা হচ্ছে দুজন বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে নিহত হয়েছেন ও তিনজন অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। উল্লেখ্য, পুকুরে বিষ দিয়ে মাছ মারার কারণে জীবন ও পরিবেশের বিরাট ক্ষতি হচ্ছে। এটা অবিলম্বে বন্ধ করতে হবে। অপর শিশু নিহতের ঘটনা সোমবার সকালের। হাটিকুমরুল-বনপাড়া মহা সড়কের খালকুলা বাজার এলাকায় সড়ক দুর্ঘটনায় তোহা হোসেন (৮) নামে শিশুটি নিহত হয়। সে উপজেলার একই ইউনিয়নের মাটিয়া মালিপাড়া গ্রামের আয়নাল হোসেনের ছেলে।