ভাঙ্গুড়া (পাবনা) প্রতিনিধি:
পাবনার ভাঙ্গুড়ায় জনচলাচলের রাস্তা নদীগর্ভে বিলীনের পথে, হুমকির মুখে রয়েছে দূর্গা মন্দিরসহ বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি। উপজেলার পৌর সদরের ৬ নং ওয়ার্ডের জগাতলা বাজারের বড়াল নদীর তীর ঘোষে জগাতলা বাজার টু আরাজী পারভাঙ্গুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তায় এমন দৃশ্য দেখা গেছে। রাস্তাসংলগ্ন বেশ কয়েকটি বাড়ীর বাসিন্দা বর্তমানে নদী ভাঙ্গনে বসতবাড়ি হারোনোর আতঙ্কে রয়েছেন।
সরেজমিন শুক্রবার পৌর সদরের ৬ নং ওয়ার্ডের জগাতলা বাজারের ওই রাস্তায় গিয়ে দেখা যায়, জগাতলা টু আরাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রাস্তার জগাতলা বাজার সংলগ্ন রাস্তাটির প্রায় দেড়শত ফুট রাস্তার গাইড ওয়াল ভেঙ্গে বড়াল নদী গর্ভে বিলীন হয়েছে। রাস্তার নিচের মাটি অনেকাংশই নদীতে ভেঙ্গে গেছে। ফলে রাস্তার ঢালাই অংশের নিচে মাটি সড়ে গিয়ে স্থানে স্থানে নদীর দিকে হেলে গিয়েছে। ঝুঁকি নিয়ে টলটলিয়াপাড়ায় ও জগাতলা মহাশশ্মানে যাতায়াত করছে স্থানীয় বাসিন্দারা। যে কোনো মহুর্তে ঘটতে পারে বড় ধরণের দূর্ঘটনা। অপরদিকে রাস্তা সংলগ্ন সোনাতন ধর্মালম্বীদের একটি সার্বজনীন দূর্গা মন্দির ও কয়েকটি বসতবাড়ি রয়েছে হুমকীর মুখে। রাস্তাটি দ্রুত সংস্কার ও রাস্তা রক্ষায় নদীর পাশ দিয়ে টেকসই গাইড ওয়াল তৈরি এখনই না করলে আগামী বৃষ্টির মৌসুমে সম্পূর্ণ রাস্তা ও সার্বজীনন দূর্গা মন্দির সহ কয়েকটি বসতবাড়ি নদী গর্ভে বিলীনের আশঙ্কা রয়েছে। অথচ এই রাস্তার সাথে আরাজীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, মহাশশ্মান রয়েছে। অন্যদিকে টলটলিয়াপাড়ার শতশত মানুষ চলাচলের জন্য এই রাস্তাটি ব্যবহার করে থাকেন।রাস্তা সংলগ্ন বাসিন্দা ষাটোর্ধ ময়না রানী সূত্রধর বলেন, এই রাস্তাটি আগে বড়াল নদীর দিকে বেশ এগিয়ে ছিল। কিন্তু বড়াল নদীর ভাঙ্গনে ভাঙ্গতে ভাঙ্গতে তাদের বসতবাড়ি মন্দির সংলগ্ন এখন রাস্তায় এসে লেগেছে। ভারী বর্ষণ হলে রাস্তাসহ তাদের মন্দির ও বসতবাড়ি যে কোনো মুর্হুতে নদী গর্ভে বিলীন হতে পারে বলেও জানান তিনি।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, পৌর এলাকায় বন্যায় ক্ষতিগস্থ রাস্তার যে তালিকা তৈরি করে উর্ধতন কতৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ওই ক্ষতিগ্রস্থ তালিকায় জগাতলার রাস্তাটিও আছে। প্রকল্প আসলেই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে ক্ষতিগ্রস্থ রাস্তাটি সংষ্কার ও গাইড ওয়াল নির্মাণ করা হবে।