ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি:পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার দিলপাশার ও অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বিভিন্ন মাঠের ফসলি জমিতে পুকুর খননের মহোৎসব চলছে। এ সব মাটি স্থানীয় ও পার্শ্ববর্তী ইট ভাটায় বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। উচ্চ আদালতের নিষেধজ্ঞা থাকলেও তার কোন তোয়াক্কা না করেই দেদারচ্ছে চলছে পুকুর খননের কার্যক্রম। এক্সেভেটর (ভেকু)মেশিন দিয়ে পুকুর খনন করা হচ্ছে। খননের মাটি ট্যাক,কুতুব (কুত্তা)গাড়ী অর্থবা হলার ট্রোলি গাড়ী করে তা ইট ভাটায় বা অন্য স্থানে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। মাটি বহনের অতিরিক্ত লোডবাহী ট্র্যাক,হ্যাড়ো ও কুতুবের চাকায় নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক, উপজেলা ও জেলা সংযোগ সড়কসহ পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক।
সরেজমিন দেখা য়ায় দিলপাশার ইউনিয়নের পাটুল গ্রামের মৃতঃ জাহের আলী ব্যাপারী ছেলে আব্দুল মান্নান ব্যাপারী ভাঙ্গুড়া-নওগাঁ আঞ্চলিক সড়কের পাটুল বাজারের পূর্বদিকে মাটি চকের মৌজা একাধিক ফসলী জমি খনন করে পুকুর তৈরী করছেন। পাশে একই গ্রামে পাটুলের হাজ্বী ছকির উদ্দিন একই ভাবে ফসলী জমি পুকুর খনন করছেন। অষ্টমনিষা ইউনিয়নের বড়বিশাকোল গ্রামের হুজুর আলী প্রামানিক বাশবাড়িয়া মৌজার কামারী বিলে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করছেন। এ সব জমির মালিক পক্ষ জানান, জমিটি পুকুর তৈরী করে মাছ চাষ করবেন এবং ভাটায় খননকৃত মাটি বিক্রি করে অতিরিক্ত টাকা পাওয়া যাবে। ফসলী জমি পুকুর তৈরীর জন্য উপজেলা প্রশাসনের অনুমতি আছে কিনা জানতে চাইলে তারা বলেন, নিজের জমি পুকুর খনন করতে প্রশাসনের অনুমতির প্রয়োজন আছে বলে তাদের জানা নেই। পাটুল ও নৌবাড়িয়া গ্রামবাসীর অভিযোগ, মাটি বহনের ট্র্যাক,হ্যাড়ো ও কুত্তা গাড়ীর চাকায় গ্রামের ভিতর দিয়ে যাওয়া কাঁচা ও আধাপাকা রাস্তা গুলি একদম নষ্ট হচ্ছে।ফলে পায়ে হেঁটে অর্থবা গ্রামীন ভ্যান- অটোভ্যান ও নছিমন চলাচলে অসুবিধা ও হরহামেশেই দূর্ঘটনা হচ্ছে। এ ছাড়া ট্র্যাক ও হ্যাড়োর বিকট শব্দ ও ধূলাবালিতে সড়কের পাশে বসবাস কারীরা অনেকেই ভূগছেন শ্বাসকষ্টে। পুকুর খনন কারী জমির মালিক ও মাটি ব্যাবসায়ীরা প্রভাবশালী হওয়ায় গ্রামের সাধারণ মানুষেরা প্রতিবাদ করতে সাহস পাচ্ছেন না।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ কাওছার হাবিব জানান, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অনুমতি ছাড়া ভূমির শ্রেণির পরিবর্তন করা যাবে না।এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান জানান, ভূমির স্তর পরিবর্তন করতে হলে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের অনুমতি নিতে হয় । এর বাইরে কেউ ফসলি জমিতে পুকুর খনন করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এর মধ্যে দু-এক স্থানে ফসলি জমিতে পুকুর খনন বন্ধ করেও দেওয়া হয়েছে।