জাকির আকন, তাড়াশ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার বাংলাদেশ কুষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ( বি,এ,ডি,সি)ক্ষুদ্র সেচের কৃষক আবু সাইদ কে লাইনেন্স প্রদানের ২ বছরের ও সংযোগ মিলেনি । একই মৌজায় নিদিষ্ট দৃরত্ব শর্ত না মেনে আরেক কৃষককে অনিয়মের মাধ্যমে লাইসেন্স প্রদান করে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে উপসহকারী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে । বাংলাদেশ কুষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ( বি,এ,ডি,সি)ক্ষুদ্র সেচের উপজেলা কার্যালয়ের উপ-সহকারীর বিরুদ্ধে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে উপজেলার বিভিন্ন মৌজায় একই মৌজায় নিদিষ্ট দৃরত্ব শর্ত না মেনে আরেক কৃষক কে অনিয়মের মাধ্যমে লাইসেন্স প্রদান করে হয়রানি করার একাধিক অভিযোগ উঠলে ও উপজেলা সেচ কমিটি বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় দীর্ঘদিন ধরে হয়রানি হচ্ছে আসছে কৃষকরা । সংশ্লিষ্ট সুত্রে ও কৃষকদের অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, উপজেলা বি,এ,ডি,সি ক্ষুদ্র সেচের আওতায় উপজেলার গুয়ারাখি গ্রামের কৃষক আবু সাইদ কে ২০১৯ সালে ৮মার্চ ৭৬ নং লাইনেন্স প্রদান করেছে । পরে একই মৌজায় নিদিষ্ট দৃরত্ব ৭শ ফিট শর্ত না মেনে আরেক কৃষক আব্দুস সামাদ কে অনিয়মের মাধ্যমে ২০২০ সালে ৬ জানুয়ারী ৪০৬ নং লাইসেন্স প্রদান কওে উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী । বিধি মোতাবেক আবু সাইদ কে সেচ লাইসেন্স এর সংযোগ প্রদানের অনুমতি পত্র না করায় হয়রানি হচ্ছে । উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য উপ-সহকারী গোলাম রব্বানি স্বাক্ষরিত ২০২০ সালের ৩০ জুন স্মারক নং ৬১ পত্রে বি,এ,ডি,সি ক্ষুদ্র সেচের কৃষক আবু সাইদ ও আব্দুস সামাদ উভয়কে যৌথভাবে সেচ মটর পরিচালনার জন্য অনুরোধ পত্র দিয়েছে । এবং উভয়কে বিদ্যুত লাইন নির্মাণ ও পরিচালনা খরচ ৫০% হারে প্রদান করতে বলেছে ।
কৃষক আবু সাইদ জানান আমি দীর্ঘ ২ বছর আগে লাইসেন্স পেলেও তিনি সংযোগ পান নি তিনি অভিযোগ করেন সেচ কমটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিকট একাধিকবার বিষয় টি জানিয়ে প্রতিকার মেলেননি । তাড়াশ পল্লী বিদ্যুতের জোনাল অফিসের ডি,জি,এম মোঃ আশরাফ উদ্দিন খান বলেন উপজেলা সেচ কমিটি একাধিক লাইসেন্স প্রদান করায় সমস্যা হচ্ছে কিন্তু আমরা নিদিষ্ট দুরত্ব বজায় রাখার শর্ত না মানলে আমরা সংযোগ প্রদান করতে পারি না । বাংলাদেশ কুষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ( বি,এ,ডি,সি)ক্ষুদ্র সেচের উপ-সহকারী মোঃ ইমাম হোসেন বলেছেন কৃষক আবু সাইদের ও আব্দুস সামাদের একই মৌজার লাইসেন্স অনুমোদন দিয়েছে আগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী । তিনি ইউ,এন,ও মহোদয়ের নির্দেশে উভয় পক্ষকে যৌথভাবে পরিচালনার জন্য বলেছেন কিন্তু আব্দুস সামাদ তা মানছেন না। উল্লেখ্য উপজেলার গুড়পিপুল মৌজার শামসুল হক ও তয়াজাল, খিরসিন মৌজার দিলিপ কুমার ,সায়েদ আমিনসহ বিভিন্ন মৌজার একাধিক লাইসেন্স প্রদান করার অভিযোগ ও মামলা রয়েছে ।