জাহাঙ্গীর আলম, চাটমোহর : মাঘের শীত উপেক্ষা করে পাবনার চাটমোহরসহ খাদ্যশস্য ভান্ডার চলনবিলাঞ্চলে বোরো আবাদ শুরু হয়েছে। দলবদ্ধভাবে কৃষকরা চারা রোপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন। বসে নেই কিয়ানীরাও। গত মৌসুমে ধানের দাম ভালো পাওয়ায় এবং বাজারে কৃষি উপকরণ সহজলভ্য হওয়ায় বোরো চাষে আগ্রহ বেড়েছে কৃষকের। পাবনার চাটমোহরে প্রথমবারের মতো সমলয় পদ্ধতিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ হচ্ছে।
ভোরে দিনের আলো বের হওয়ার সাথে সাথে শীত ও কুয়াশা উপেক্ষা করে বোরো আবাদে মাঠে নেমে পড়ছেন চাষী। গ্রামে গ্রামে ধান রোপনে উৎসবের আমেজ। দুপুরের খাবার খেতের আইলেই সারছেন কৃষক ও কৃষি শ্রমিক। কিষাণীরাও বীজতলা থেকে চারা তুলে জমিতে নিয়ে যাচ্ছেন। শস্য ভান্ডার বলে খ্যাত চলনবিল অঞ্চলে প্রতি বছরই বোরো ধানের বাম্পার ফলন হয়ে থাকে। গত মৌসুমে আগাম বন্যায় বোরো চাষীরা কিছুটা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছিলেন। তাই এবার জোরেসোরো বোরো আবাদে নেমে পড়েছেন তারা।
পাবনার চাটমোহরে এবার সমলয় পদ্ধতিতে বোরো আবাদ করা হচ্ছে। উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের ভাদরা, খয়েরবাড়িয়া গ্রামে ‘সমলয়’পদ্ধতিতে বোরো আবাদ করা হচ্ছে। এ গ্রামের ৭৫ জন কৃষকের ৫০ একর জমিতে হাইব্রিড ধানের আবাদ করা হবে। একই জমিতে একই প্রকার ধানের আবাদ হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ৬১ জেলার ৬১টি উপজেলায় সমলয় পদ্ধতিতে বোরো আবাদ পদ্ধতি গ্রহণ করেছে। পাবনা জেলার চাটমোহর উপজেলায় এই আবাদ হচ্ছে। এ পদ্ধতিতে প্লাস্টিকের ট্রেতে বীজ রোপন করা হয়েছে। সমলয় পদ্ধতিতে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ধানের উৎপাদন খরচ কমানো ও সময় সাশ্রয় হবে।
এব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ এ এ মাসুম বিল্লাহ জানান, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ইরি-বোরো আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ৯ হাজার ৭৭০ হেক্টর জমিতে। এরমধ্যে উফশি ৮ হাজার ৫১০ হেক্টর, হাইব্রিড ১ হাজার ২শত হেক্টর ও স্থানীয় জাতের ৬০ হেক্টর। এরমধ্যে এই প্রথম দেশের ৬১টি উপজেলার মতো চাটমোহর উপজেলায় ৫০ একর জমিতে জেকেআরএইচ-১২২০ জাতের হাইব্রিড ধানের আবাদ হচ্ছে।