বিশেষ প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের তাড়াশে তায়জুল হোসেন নামে এক কৃষকের অবৈধভাবে নেওয়া বিএডিসির সেচ লাইসেন্সে স্থগিতাদেশ দিয়েছেন উপজেলা বিএডিসি সেচ কমিটি। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি মো. মেজবাউল করিম।
সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, উপজেলার দেশীগ্রাম ইউনিয়নের চৌড়া গ্রামের প্রভাবশালী তায়জুল হোসেন জমিতে কৃষি কাজে সেচের জন্য অগভীর নলকূপের লাইসেন্স পেতে সম্পূনণ ভুল তথ্য দিয়ে আবেদন করে লাইসেন্স বাগিয়ে নেয় ও পরে বিদ্যুৎ সংযোগ নেয়। আর যে স্থানে জমি দেখিয়েছেন, সে জমির শ্রেণি পুকুর। তাছাড়া তায়জুল হোসেনের অগভীর নলকূপের সংযোগ স্থলের মাত্র ৪৯০ ফুট দূরত্বের মধ্যেই মোহাব্বত আলী নামে আরেকজন কৃষক বিএডিসি সেচ কমিটি হতে অগভীর নলকূপের লাইসেন্স নিয়ে সেচ কাজে ব্যবহার করছেন।
এ বিষয়ে গুড়পিপুল গ্রামের শামছুল হক নামের এক কৃষক প্রতিকার চেয়ে সংশ্লিষ্টদের দ্বারে-দ্বারে ঘুরে অবশেষে ফল না পেয়ে ৪ নভেম্বর সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ তাড়াশ জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন খান ও গত ৮ নভেম্বর তাড়াশ উপজেলা নির্বাহী কমর্ কর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি মো. মেজবাউল করিম বরাবর এবং সর্বশেষ ২৪ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
পরে গত রবিবার বিকেলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি মো. মেজবাউল করিমের নির্দেশে উপজেলা বিএডিসি এর উপ-সহকারী প্রকৌশলী ও উপজেলা সেচ কমিটির সদস্য সচিব মো. ইমাম হোসেন ও উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের উপ-সহকারী প্রকৌশলী মো. মেহেদী হাসানকে ঘটনাস্থলে তদন্ত করার জন্য পাঠানো হয়। তদন্ত করে প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি মো. মেজবাউল করিম বরাবর জমা দেয়। এ নিয়ে তায়জুল হোসেনের অবৈধভাবে নেওয়া সেই বিএডিসির সেচ লাইসেন্স স্থগিতাদেশ দেন উপজেলা সেচ কমিটি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সেচ কমিটির সভাপতি মো. মেজবাউল করিম বলেন, কৃষক শামছুল হকের অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তপূর্বক প্রাথমিকভাবে অবৈধভাবে বিএডিসি সেচ লাইসেন্স ও বিদ্যুৎ সংযোগ নেওয়ার সত্যতা পাওয়া গেছে। যে কারণে তার লাইসেন্স স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তীতে উপজেলা সেচ কমিটির সভায় তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তিনি আরো বলেন, বর্তমানে ওই লাইসেন্স ও বিদ্যুৎ সংযোগ অবৈধ।