গুরুদাসপুর প্রতিনিধি: নাটোরের গুরুদাসপুর উপজেলার নারায়নপুর গ্রামের খালেদা আক্তার জুঁই (২২) নামের এক গৃহবধূকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী রিপনের বিরুদ্ধে। আহত গৃহবধূ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কাতরাচ্ছেন।
স্থানীয়রা ও ভুক্তভোগির আত্মীয়স্বজন জানায়, ২০১২ সালে রিপনের সাথে জুঁইয়ের বিয়ে হয়। তাদের ঘরে জনি নামের ৪ বছরের এক পুত্র সন্তানও রয়েছে। বিয়ের পর থেকেই ভ্যান চালক স্বামী রিপন যৌতুকসহ বিভিন্ন অজুহাতে জুঁইকে মারধর করতো। সন্তানের মুখের দিকে চেয়ে সে নিরবে স্বামীর অত্যাচার সহ্য করে আসছিল। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে রিপন। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় জুঁইকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়।
আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ রবিউল করিম জানান, গৃহবধূ জুঁইয়ের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। সে মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে। তাকে চিকিৎসার পাশাপাশি বেডরেষ্টে থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।জুঁইয়ের পিতা জহুরুল ইসলাম বলেন, অনেক অত্যাচার সহ্য করেছে আমার মেয়ে। বিচারের দাবিতে থানায় অভিযোগ দায়ের করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।অভিযুক্ত রিপন স্ত্রীকে পিটানোর কথা স্বীকার করে বলেন, সাংসারিক কাজ নিয়ে ঝগড়ার এক পর্যায়ে রাগান্বিত হয়ে কয়েকটি লাঠিপেটা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানার ওসি মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে