বিশেষ প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন এ্যাম্বুলেন্সটি আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় মেরামত করানো যাচ্ছে না। এ কারণে সেটা প্রায় চার বছর যাবৎ পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। কোনমতে একটি পুরানো এ্যাম্বুলেন্স দিয়ে চলছে রোগী স্থানান্তর। যা বেশীর ভাগ সময় চলে না বলে জানা যায়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা জামাল মিয়া শোভন জানান, নতুন এ্যাম্বুলেন্সটি ২০১৬ সালে হস্তান্তরের পাঁচদিন পর দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন না থাকায় বিআরটিএ মেরামতের অনুমোদন দিচ্ছে না।এ্যাম্বুলেন্স চালক আব্দুল মমিন জানান, দুর্ঘটনায় এ্যাম্বুলেন্সটির ডিফারেন্সিয়াল গিয়ার বক্স নষ্ট হয়ে গেছে। পাঁচটি টায়ার-টিউবও লাগবে। এছাড়াও ওয়ারিং সমস্যা তো রয়েছেই। তিনি আরো জানান, ২৮ বছর আগের একটি পুরাতন আনফিট গাড়ি দিয়ে চলছে রোগী স্থানান্তরের কাজ। গাড়িটি মাসে তিন-চারবার নষ্ট হয়ে থাকে। আর দ্রুত গতির না হওয়ায় নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে গন্তব্যে পৌঁছাতে চরম বেগ পেতে হয়।
এ প্রসঙ্গে সিরাজগঞ্জ সিভিল সার্জন মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন এ্যাম্বুলেন্সটি মেরামতের জন্য ঊর্দ্ধতন পর্যায়ে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে। এদিকে প্রায় আড়াই লক্ষ উপজেলাবাসীর জন্য একটি মাত্র নষ্ট এ্যাম্বুলেন্স কোনো প্রকার সেবা প্রদান কিংবা দুর্ভোগ লাঘবেই কাজে আসছে না। অথচ তাড়াশের মাননীয় সাংসদ নিজে একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক। তার নিজের উপজেলায় এ করুণ চিত্র দুর্ভাগ্যজনক। এ বিষয়টিতে এমপি মহোদয়ের জরুরী কার্যকরী নেক দৃষ্টি আশা করেন এলাকাবাসী।