শহিদুল ইসলাম সুইট,সিংড়া(নাটোর) প্রতিনিধিঃ
মহামারী করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরীর সরকারী অনুমতি চান নাটোরের সিংড়া বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল এন্ড কলেজের সহকারী গণিত শিক্ষক ও হোমিও প্যাথিক চিকিৎসক ডাঃ কারিমুন নেছা। ডাঃ কারিমুন নেছা ২০১০ সালে বাংলাদেশ হোমিও প্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ, ঢাকা থেকে ৪ বছর মেয়াদী এমবিবিএস এর সমমান ডিগ্রি পাশ করে শিক্ষকতার পাশাপাশি হোমিও চিকিৎসা সেবায় কর্মরত আছেন। চলতি বছরে করোনা মহামারীর প্রথম সংক্রমণের সময়ে এই ভাইরাস নিয়ে মানুষ যখন দিশেহারা ঠিক তখনই ডাঃ কারিমুন নেছা পর্যাপ্ত যন্ত্রপাতী ও ল্যাব ছাড়াই নিজ বাসায় করোনা ভাইরাসের নমুনা সংগ্রহ করে মহাত্মা হ্যানিমনের হোমিও প্যাথিকের সুত্র অনুসারে গবেষণা শুরু করেন এবং করোনা ভাইরাস প্রতিরোধের সুত্র খুঁজে পান। নিজ স্বামী ও ছেলে মেয়েদের করোনা ভাইরাসের উপর্সগ নমুনা নিয়ে পরিবারের ওই ৩ জনের শরীরে পরীক্ষামুলক প্রয়োগ করে তিনি সফল হন। ডাঃ কারিমুন নেছার দাবি সরকারী অনুমতি পেলে এবং প্রয়োজনীয় ল্যাব পেলে ইনজেকশনের ঝামেলা ছাড়াই র্নিদিষ্ট পরিমান মুখে খাওয়ার ভ্যাকসিন তৈরীতে তিনি সফল হবেন।
এবিষয়ে জানতে চাইলে ডাঃ কারিমুন নেছা বলেন, গত র্মাচ মাসে করোনা ভাইরাসের প্রথম পর্যায়ে যখন আমাদের দেশে মহামারীর রুপ নেয় তখন ভাবি মানবজাতীর এই মহাবিপদের সময় মানুষের কল্যাণে কিছু করা দরকার। তাই আমার চিকিৎসা শাস্ত্রে মহাত্মা হ্যানিমনের সুত্র অনুসরন করে গবেষণা শুরু করি। আমার ক্ষুদ্র গবেষণায় আমি সফল হই। কিন্তু পরীক্ষামুলক ভাবে কোন করোনা রুগি খুঁজে পাচ্ছিলাম না। যার উপর এটা ব্যবহার করবো। এর মধ্যে গত র্মাচের ৪/৫ তারিখে আমার স্বামীর সর্দি কাশি ও গলাব্যথা সহ করোনা ভাইরাসের নানা উপর্সগ দেখা দেয়। আমি তার শরীর থেকে ঘাম সংগ্রহ করে ভ্যাকসিন তৈরী করি এবং স্বামীর শরীরে অতি সাবধানে তা প্রয়োগ করি। অল্প দিনেই আমার স্বামী সুস্থ হয়ে উঠেন। এর পর আমার নিজের এবং আমার ছেলে সোহান(১৪) ও মেয়ে সাদিকার(১২) একই উপসর্গ দেখা দিলে আমার ও তাদের উপরও এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করি। আমরা সবাই অল্প দিনের মধ্যেই সুস্থ্য হয়ে উঠি। কিছুদিন পর অভিভাবকের অনুমতি নিয়ে ৮/১০ বছর বয়সী আমার ২ ছাত্রের সুস্থ্য শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে সামান্য জ্বর জ্বর,শরীর ব্যথা,অরুচির মধ্য দিয়ে সুপ্ত থেকে প্রকাশকাল পার হয়ে তারা ২জনই এখন সুস্থ্য আছে। আমি এখানেও সফল হই। আমি আশাবাদী অনুকুল পরিবেশে সুস্থ্য শরীরে এই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করলে আকশ্মিক মৃত্যুর হাত থেকে রক্ষা পাবে ইনশা আাল্লাহ। তাই সরকারী অনুমতি ও সুযোগ সুবিধা পেলে ইনজেকশনের ঝামেলা ছাড়াই নির্দিষ্ট মাত্রায় মুখে সেবন করার আমার এই আবিষ্কৃত ভ্যাকসিন মানবকল্যাণে ব্যবহারের সর্বজনিন স্বীকৃকি পাবে বলে আমি বিশ্বাস করি।