ডাঃ আমজাদ হোসেন মিলন
বাংলাদেশ থেকে
বিশ্বে এই প্রথম ‘কুরআনিক ভিলেজ ও মসজিদ নির্মাণ করতে যাচ্ছে মালয়েশিয়া। এটি মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরের সন্নিকটে দক্ষিণে পুত্রজায়ার টারাঙ্গানুতে নির্মিত হবে। এর স্থাপনার মাধ্যমে জ্ঞানের নগরীতে পরিণত হবে টারাঙ্গানু। ইতিমধ্যে এর নির্মাণ ব্যয়, অর্থের উৎস ও নির্মাণ স্থল বরাদ্দসহ বিভিন্ন বি’ষয় সুস্পষ্ট করেছে দেশটির স’রকার।
মালয়েশিয়ার মালয় মেইল, টাইম নিউজসহ অনেকে গণমাধ্যম তা প্রকাশ করেছে। রাজধানী কুয়ালালামপুরের দক্ষিণে অবস্থিত পুত্রজায়ায় পর্যটকদের আকর্ষণ করতে, কুরআনিক জ্ঞানের প্রচার ও প্রসারে এবং আধুনিক এ শহরে বিদেশিদের স্থায়ীভাবে বসবাসের সুন্দর পরিবেশ তৈরিতে এ উদ্যোগ গ্রহণ করেছে দেশটি। এটি নশরুল কুরআন বিশেষ স্থাপনার অংশ বিশেষ। দেশটির ফেডারেল টেরিটরিমন্ত্রী আনুয়ার মুসা (Annuar Musa) এক টুইটবার্তায় মসজিদ ও কুরআনিক ভিলেজ নির্মাণের ঘোষণা দেয়। তাতে মসজিদ ও কুরআনি ভিলেজের একটি ছবিও পোস্ট করেন।
ইতিমধ্যে দেশটি এই কুরআনিক ভিলেজ ও মসজিদ নির্মাণে ২০ একর জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। এর নকশা করা প্রায় শেষ। আল্লাহর ই’চ্ছায় আগামী বছর তথা ২০২১ সালের শুরুর দিকে এর নির্মাণ কাজ শুরু হবে বলে টুইটারে আশা প্রকাশ করেন এ মন্ত্রী। কুরআনিক এ নগরী ও মসজিদ নির্মাণে ব্যয় হবে প্রায় ১ হাজার ৫০০ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিংগিত। যার অর্ধেক বিনিয়োগ করবে দেশটির স’রকার আর বাকি অর্ধেক বিভিন্ন দাতাগোষ্ঠী ও শুভানুধ্যায়ীদের থেকে সংগ্রহ করা হবে। মালয়েশিয়ার পুত্রজায়ায় নির্মিত এ নগরী ও মসজিদ বিশ্বের প্রথম ও একমাত্র স্থাপনা বলেও দাবি করেছেন দেশটি। এ মসজিদ ও নগরীতে থাকবে ৫ হাজার লোকের নামাজ পড়ার ব্যবস্থা। কুরআনিক বিজ্ঞান ও ভবি’ষ্যদ্বাণীমূ’লক একটি কেন্দ্রও থাকে তাতে। এতে আরও থাকবে- ছাত্রাবাস, কমিউনিটি সেন্টার, শপিংমল ও সাংস্কৃতিক কেন্দ্র।
মন্ত্রী আরও জানান, কুরআনিক এ ভিলেজ ও মসজিদটি মালয়েশিয়া স’রকারের পাশাপাশি আরব বিশ্বের দেশ কুয়েত, ইরাক, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ব্রুনাইয়ের জন্য উৎসর্গ করা হবে।