ফারুক আহমেদঃ মানুষ মানুষের জন্য এ কথা সর্বজনে জানে আল্লাহ তালা কাহকে রাখেন গাছ তলাতে আবার কাহকে রাখেন উপরের তলাতে। কাহকে রাখেন সুস্থতায় আবার কাহকে রাখেন অসুস্থ্যতায় এইতো তার খেলা। এরই মাঝে খুঁজে পাবে ঈমানের স্বাদ দূরলোভ নামে বস্তুতটা। আবার কেহ হারাবে ঈমান নামের দূরলোভ বস্তুটা। সরণ রেখ তোমার অন্যায় কাজের প্রতি কারো দীর্ঘশ্বাসই অভিশাপ এবং সৎতভাবে কারো মুখে হাঁসি ফোটানেই আশির্বাদ। কিয়ামতের দিন একটু নেকির আসায় অসুস্থ্য দূর্বল মানুষের দোয়া কবুল হয় এই আসায় গরীব – অসহায় দুস্ত নির্যাতিতা, নিপরণ ও মৃত্যু পথের যাত্রী মুমোর্ষ রোগী দেখার যাদের কাজ তারা হলেন সেই মহান হৃদয়ের মহা- মানবেরা হলেন, সিরাজগঞ্জ সলঙ্গা আমশড়া গ্রামের সাকাওয়াত হোসেন মাষ্টার, আব্দুল বারিক প্রভাষক, সলঙ্গা রিপোর্টাস ইউনিটির সহসভাপতি সাংবাদিক ফারুক আহমেদ, দৈনিক নয়াদিগান্তর সলঙ্গা থানা প্রতিনিধি মাসুম বিল্লাহ, বিশিষ্ট সমাজ সেবক এম, আর মুন্ট, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী শিহাব উদ্দিনের এই ৬ জনের একটি টিম নিজ উদ্দ্যেগে কিছু হাদিয়া নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরেন যেখানে শোনেন মৃত্যু পথের যাত্রী মুমোর্ষ রোগী আছে কোন এলাকায়, ঠিক সে এলাকায় রোগীর সেবাযত্নের মানব ভাব নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরেন। ঠিক তেমনি খবর পেয়ে কিছু হাদিয়া হাতে নিয়ে ঝাঁপিয়ে পরেন গত রবিবার বিকালে সলঙ্গা আমশড়া গ্রামের ছয়জন মুমোর্ষ মৃত পথের যাত্রী রোগীদের পাশে বসে তাদেরকে সাহস ও শান্তনা দিতে দেখা গেয়েছে ।
অসুস্থের সেবা ও রোগী দেখার ফজিলত হাদিসে বলা হয়েছে, তোমরা রোগী দেখতে যাও এবং জানাজায় অংশগ্রহণ করো, কেননা তা তোমাদেরকে পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) রোগীর সেবাযত্ন করাকে সর্বোৎকৃষ্ঠ নেক আমল ও ইবাদত ঘোষণা করেছেন। সাহাবি হজরত আবু সাঈদ খুদরি (রা.) বর্ণনা করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, ‘তোমরা রোগী দেখতে যাও এবং জানাজায় অংশগ্রহণ করো, কেননা তা তোমাদেরকে পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেবে।
’ -মুসনাদে আহমদ: ৩/৪৮
একজন অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সান্তনার বাণী শোনালে, খোঁজ-খবর নিলে, একটু সেবাযত্ন করলে তার দুশ্চিন্তা লাঘব হয়। সে অন্তরে অনুভব করবে প্রশান্তি।
তাই মানবিক বিচারে রোগীর খোঁজ-খবর নেওয়া, সেবাযত্ন করা উচিত।
পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধু-বান্ধবদের কেউ অসুস্থ হলে তার খোঁজ-খবর নেওয়ার ব্যাপারে অবহেলা করা উচিত নয়।
হজরত রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন, এক মুসলমানের ওপর অপর মুসলমানের ৫টি হক রয়েছে। তা হলো- ১. সালামের জবাব দেওয়া, ২. হাঁচির উত্তর দেওয়া, ৩. দাওয়াত কবুল করা, ৪. অসুস্থ হলে দেখতে যাওয়া ও ৫. জানাজায় অংশগ্রহণ করা।
-সহিহ বোখারি: ১২৪০
হাদিসে কুদসিতে বলা হয়েছে, ‘কিয়ামতের দিন আল্লাহ বলবেন, হে আদম সন্তান! আমি অসুস্থ হয়েছিলাম, কিন্তু তুমি আমাকে দেখতে যাওনি। বান্দা বলবে, আপনি তো বিশ্বজাহানের প্রতিপালক- আমি আপনাকে কিভাবে দেখতে যেতে পারি? আল্লাহ বলবেন, আমার অমুক বান্দা অসুস্থ হয়েছিল। তুমি তাকে দেখতে গেলে সেখানে আমাকে পেতে…। -সহিহ মুসলিম: ২১৬
রোগীকে দেখার ফজিলত
রোগী দেখার অসংখ্য ফজিলতের কথা হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। হজরত আলী (রা.) বর্ণনা করেন, আমি রাসূল (সা.) কে বলতে শোনেছি, যে ব্যক্তি সকালবেলা কোনো অসুস্থ মুসলমানকে দেখতে যায়, সত্তর হাজার ফেরেশতা বিকাল পর্যন্ত তার জন্য দোয়া করতে থাকে। আর বিকেলে রোগী দেখতে গেলে সকাল পর্যন্ত সত্তর হাজার ফেরেশতা দোয়া করে… । -সুনানে তিরমিজি: ৯৬৭
রোগী দেখতে গিয়ে এ দোয়াটি পাঠ করার কথা হাদিসে বলা হয়েছে
রোগী দেখার নিয়ম ও আদব
১. অজুসহকারে রোগী দেখতে যাওয়া। এ মর্মে হজরত আনাস (রা.) রেওয়ায়েত করেন, রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি উত্তমরূপে অজু করে সওয়াবের উদ্দেশ্যে কোনো অসুস্থ মুসলমান ভাইকে দেখতে যায়- তাকে জাহান্নাম থেকে ৬০ বছরের পথ দূরে রাখা হবে। -আবু দাউদ: ৩০৯৭
২. রোগীর অবস্থা বুঝে শরীরে হাত রেখে রোগের কথা জিজ্ঞাসা করা। রাসূল (সা.) বলেছেন, শুশ্রুষার পূর্ণতা হলো- রোগীর কপালে বা শরীরে হাত রেখে জিজ্ঞেস করা, কেমন আছেন? তিরমিজি
৩. রোগীর সামনে এমন কথা বলা যাতে সে সান্তনা লাভ করে। রাসূলুল্লাহ (সা.) কোনো রোগীকে দেখতে গেলে বলতেন, এমন সান্দনামূলক কথা বলতেন বলে হাদিসে ইরশাদ হয়েছে। ;
৪. রোগীর কাছে বেশি সময় ক্ষেপন না করা। রাসূল (সা.) বলেন, রোগী দেখার সময় হলো- উটের দুধ দোহন পরিমাণ। আরেক বর্ণনায় এসেছে, রোগী দেখার উত্তম পন্থা হলো- তাড়াতাড়ি ফিরে আসা।
৫. রোগী কিছু খেতে চাইলে এবং তা তার জন্য ক্ষতিকর না হলে খেতে দেওয়া। রাসূল (সা.) বলেছেন, রোগী যদি কিছু খেতে চায়- তবে তাকে খেতে দেওয়া উচিত। -ইবনে মাজাহ
৬. রোগীর সামনে উচ্চ আওয়াজে কথা না বলা। ইবনে আব্বাস (রা.) বলেন, সুন্নত হলো- রোগীর পাশে কম সময় বসা এবং উঁচু আওয়াজে কথা না বলা।
৭. রোগীর জন্য দোয়া করা। বিভিন্ন দোয়া হাদিসে বর্ণিত হয়েছে। রাসূল (সা.) বলেন, কোনো রোগীর কাছে গিয়ে নিম্নের দোয়াটি সাতবার পাঠ করলে মৃত্যুরোগ ছাড়া সব রোগ থেকে সে সুস্থ হয়ে ওঠবে- ইনশাআল্লাহ।
দোয়াটি হলো- আসআলুল্লাহাল আজিম, রাব্বাল আরশিল আজিম, আই ইয়াশফিয়াকা। -আবু দাউদ: ৩১০৬
৮. রোগীর কাছে নিজের জন্য দোয়া চাওয়া। রাসূল (সা.) বলেন, ‘তোমরা রোগী দেখতে গেলে তার কাছে নিজের জন্য দোয়া চাও। কেননা তার দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার সমতুল্য। ’ -ইবনে মাজাহ।
দুস্তু – অসহায় গরীব ও মৃত্যু পথের যাত্রীদের মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে সেবা যত্ন শুশ্রুতা করার মনোভাব নিয়ে আসা তাদের ছয়জনকে কেন রোগী দেখেন জানতে চাইলে তারা এই প্রতিনিধিকে একান্ত সাক্ষাৎতে বলেন, আমরা বিশ্বনবীর মৃত সুন্নাতকে জার্গ্রোত করছি, আমরা মুমোর্ষ রোগীর কাছে নিজেদের জন্য দোয়া কামনা করি কারণ তাদের দোয়া ফেরেশতাদের দোয়ার সমতুল্য, কোন অসুস্থ্য মুসলিম ভাইকে ওযু অবস্থা সওয়াবের উদ্দেশ্যে দেখতে যাই। এই কারণে যারা মূমোর্ষ মৃত্যু পথের যাত্রীকে সেবা শুশ্রুতা করার জন্য দেখতে যায় তাদেরকে জাহান্নাম থেকে ৬০ বছরের পথ দূরে রাখা হবে, তাছাড়া যে ব্যক্তি সকালবেলা রোগী দেখতে যায় তার জন্য বিকাল পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা দোয়া করতে থাকেন, আর বিকালে গেলে সকাল পর্যন্ত ৭০ হাজার ফেরেশতা দোয়া করতে থাকেন সেই কবুলতি দোয়া পাওয়ার আসায় এমনকি এক মুসলমান অপর আর এক মুসলিমের জন্য হক পাঁচটি ১, সালামের জওয়াব দেয়া, ২, হাঁচির উত্তর দেয়া, ৩,দাওয়াত কবুল করা,৪, অসুস্থ মানুষকে দেখতে যাওয়া, ৫, জানাযায় অংশ গ্রহণ করা। আমাদের আরো উদ্দেশ্যে হলো- মানবিক বিচারে একজন অসুস্থ মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাকে সান্তনার বানি শুনালে, খোঁজ -খবর নিলে একটু সেবাযত্ন করলে তার দূরশ্চিন্তা একটু লাঘুব হয়ে সে অন্তরে মহান আল্লা তালা করে দিবেন একটু প্রশান্তি এই আসা ও তাদের কাছে আমাদের নিজেদের জন্য দোয়া কমনা করায় আমাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে যেন আমাদেরও এ অনুভূতি অনুভাব হয় আমাদেরকেও একদিন এমন অবস্থা হতে পারে তার জন্য আফসোস করা মহান আল্লাহর কাছে এ অবস্থা থেকে পানা চাওয়া যেন এ অবস্থা আসার আগেই ঈমানের সাথে মৃত প্রদান করেন এ আসা কামনা করায় আমাদের মূল উদ্দেশ্যে।
তাদের কাছে এ মহৎত ও সৎকাজ কতদিন করবেন জানতে চাইলে তারা এই প্রতিনিধিকে জানান, আমাদের মহান -আল্লাহু তা’ আলা এই মহৎকাজ করার যতদিন সুযোগ প্রদান করবেন। ততদিন আমরা করবো ইনশল্লাহ। তবে কেহ ইচ্ছা করলে আমাদের ট্রিমে যোগ দিতে পারেন।