সাব্বির আহম্মেদ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে স্বামী ও শ্বশুড় কর্তৃক নির্যাতিত শিউলী রানী (২৪ ) নামের এক গৃহবধূ কে সন্তান সহ তাড়াশ থানা পুলিশ উদ্ধার করেছেন। রোববার রাতে তাড়াশ থানার এস আই সোলাইমান হোসেন অভিযান চালিয়ে উপজেলার বারুহাঁস ইউনিয়নের চৌবাড়িয়া গ্রাম থেকে তাকে উদ্ধার করেন।গৃহবধূ শিউলী রানী ওই গ্রামের গোপেনন্দ্র নাথ ভৌমিকের ছেলে সুমন চন্দ্র ভৌমিকের স্ত্রী।
তাড়াশ থানার অভিযোগ সুত্রে জানা গেছে, বগুড়া জেলার শেরপুর উপজেলার কুসুম্বী গ্রামের প্রভাত চন্দ্র সরকারের মেয়ে শিউলী রানীর সাথে প্রায় ৬ বছর পুর্বে তাড়াশ উপজেলার চৌবাড়িয়া গ্রামের গোপেনন্দ্র নাথ ভৌমিকের ছেলে সুমন চন্দ্র ভৌমিকের বিয়ে হয়। বিয়ের সময় গৃহবধূর পরিবার স্বর্ণালংকার , নগদ টাকা সহ আসবাবপত্র যৌতুক হিসেবে প্রদান করেন। বর্তমান গৃহধূর শিউলীর ৪ বছরের একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
গৃহবধূ শিউলীর ভাই সবুজ চন্দ্র সরকার অভিযোগ করে জানান, বিয়ের দুই বছর পর থেকে নতুন করে যৌতুকের দাবীতে তার শ্বশ্বড় গোপেন্দ্র নাথ ভৌমিক ও স্বামী সুমন চন্দ্র তাকে শারিরীক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ১২ নভেম্বর রাতে গৃহবধূকে শিউলীকে যৌতুকের দাবীতে শ্বশুড় ও স্বামী মিলে বেধরক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। পরে নির্যাতিত ওই গৃহবধু নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে প্রতিবেশী হেমন্ত চন্দ্রের বাড়িতে আশ্রয় নেন।এদিকে গৃহবধূর প্রতিবেশীরা জানান , দীর্ঘদিন যাবৎ শিউলীর স্বামী- শ্বশুড় মিলে তাকে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে আসছে। অথচ তার বিচার পাননি।
অপরদিকে খবর পেয়ে দুই দিন গৃহবধূর অভিভাবকরা তার শ্বশুড় বাড়িতে এসে তাদের মেয়েকে উদ্ধার করে চিকিৎসা দিতে চাইলে গৃহবধূর শ্বশুড় তাদেরকে লাঞ্চিত করে প্রাণ নাশের হুমকি দেয় এবং তাদের মেয়েকে নিয়ে যেতে বাঁধা দেয় বলে তারা অভিযোগ করেন। পরে গৃহবধুর অভিভাবকরা গ্রামবাসীর সহযোগীতায় শিউলীকে তিন দিনেও উদ্ধার করতে না পেরে রোববার রাতে শিউলীর ভাই শ্রী সবুজ সরকার তাড়াশ থানায় লিখিত অভিযোগ করেন।
পরে অভিযোগ পেয়ে রোববার রাতেই তাড়াশ তাড়াশ থানার এস আই সোলাইমান হোসেন গুরুতর অসুস্থ্যবস্থায় ৪ বছরের মেয়ে অর্পিতাকে সহ গৃহবধূ শিউলী রানীকে উদ্ধার করেন।গৃহবধূর ভাই শ্রী সবুজ সরকার জানান , গুরুতর অসুস্থ্য তার বোনকে চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় নেয়া হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে তাড়াশ থানার ওসি মোঃ ফজলে আশিক বলেন ,অসুস্থ ও নির্যাতিত গৃহবধূকে তার ভাইয়ের জিম্মায় দেয়া হয়েছে। পরে গৃহবধূর ভাইয়ের দায়ের করা অভিযোগটি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।