সিংড়া প্রতিনিধিঃ টাকা ছাড়া কোন কাজই করেননা। শিক্ষকদের বদলী,পিআরপিএল,শ্রান্তি বিনোদন,মাতৃত্ব ছুটি,মেডিক্যাল ছুটি সহ বিভিন্ন কাজের জন্য শিক্ষকদের কাছ থেকে টাকা নেন। টাকা না দিলে হয়রানির শিকার হন শিক্ষকরা। এমন ঘুষ দুর্নিতীর অভিযোগ উঠেছে নাটোরের সিংড়া উপজেলা শিক্ষা অফিস উচ্চমান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিনের বিরুদ্ধে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত করেছে জেলা শিক্ষা অফিস।
উপজেলার শিকি চড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুস সালাম, শরিষা বাড়ি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ দেলোয়ার হোসেন ও হাট মুরশন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আওয়াল হোসেন সহ ১২জন প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরিত নাটোর জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগে এই তথ্য জানা গেছে। লিখিত অভিযোগ ও ভুক্ত ভোগী শিক্ষকরা জানান, সাবিনা ইয়াসমিন র্দীঘ ৭ থেকে ৮ বছর ধরে এই অফিসে কর্মরত আছেন। চাকুরীর শুরু থেকেই তিনি নানা অনিয়ম,ঘুষ দুর্নিতী করে আসছেন। চলতি বছরে ১২০ জন নতুন শিক্ষকদের কাছ থেকে যোগদানের নামে শিক্ষক প্রতি ১হাজার টাকা করে নিয়েছেন। যা বৈধ নয়। বেতন স্কেল করে দেওয়ার নামে কিছুদিন আগে শাহনাজ পারভিন নামের এক প্রধান শিক্ষকের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়েছেন। এছাড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে মেরামত স্লিপ,রুটিন মেইনটেন সহ শিক্ষা প্রকল্পের নানা বরাদ্ধের কাজে টাকা নেন ওই সাবিনা ইয়াসমিন। টাকা না দিলে কাজে হয়রানির শিকার হতে হয় শিক্ষকদের। তাঁরা তাঁর বদলীর দাবি জানান।
এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা শিক্ষা অফিস উচ্চমান সহকারী কাম-হিসাব রক্ষক মোছাঃ সাবিনা ইয়াসমিন বলেন,আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তা সর্ম্পুণ মিথ্যা। যেদিন নতুন শিক্ষকরা এখানে যোগদান করেন সেদিন আমি মেহেরপুর পিকনিকে ছিলাম। পারভিন নামের কোন শিক্ষকের কাছ থেকে বেতন করার নামে কোন টাকা নেই নাই। বেতন স্কেল করার কাজ আমার না। এটা এই অফিসের আনিস ভাই দেখেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মঈনুল হাসান বলেন অভিযুক্ত সাবিনার বিষয়ে আমার কাছে কোন অভিযোগ করেনি অভিযোগকারিরা অভিযোগ করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর তারাই বিষয়টি দেখবেন।অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা নাটোর জেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বিশ্বজিৎ কুমার সাহা বলেন, গত ১৯ অক্টোবর উভয় পক্ষের জবানবন্ধী নেওয়া হয়েছে কিছু দিনের মধ্যেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।