গোলাম মোস্তফা : শস্য ভান্ডার খ্যাত চলনবিলের তাড়াশেও ফাতেমা ধানের আবাদ শুরু হয়েছে। উপজেলার তালম ইউনিয়নের পাড়িল গ্রামের ইসরাফিল নামের একজন কৃষক এ ধানের আবাদ করেছেন। বাগের হাটের ফাতেমা ও তার ছেলে উচ্চ ফলনশীল জাতের এ ধান আবিস্কার করেন।
কৃষক ইসরাফিল বলেন, সংবাদপত্র ও ইউটিউবের মাধ্যমে ফাতেমা ধানের বিষয়ে উদ্বুদ্ধ হয়ে তিনি প্রাথমিকভাবে ৮০ শতাংশ জমিতে আবাদ করেছেন। মূলত বোরো মৌসুমের ফাতেমা ধান। তবে রোপা আমনের থেকেও ভালো ফলন আশা করা যায়। তিনি আরো বলেন, বোরো মৌসুমের বীজ সংগ্রহের জন্য ফাতেমা ধানের আবাদ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়,এক একটা ধান গাছের উচ্চতা বুক পরিমাণ, তুলনামূলক মোটা। ধানে পাক ধরে শীষ হেলে পড়েছে।
উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাটের ফাতেমা নামে একজন নারী ও তার ছেলে বোরো ধানের মধ্যে তিনটি শীষ খুঁজে পান। পরের বছর সেই শীষের ধান বুনে পান দুই কেজি বীজ। সেই বীজ এক বিঘা জমিতে চাষাবাদ করে ফাতেমা ৩৫ মণ ধান ঘরে তোলেন। যেখানে অন্যান্য ধানের ফলন বিঘা প্রতি ১৮ মণের বেশি পাওয়া সম্ভব ছিলোনা। কৃষি কর্মকর্তা লুৎফুননাহার লুনা বলেন, ফাতেমা ধান সম্ভাবনাময়। তবে বোরো মৌসুমে আবাদ করা হলে এ ধানের অবস্থান সম্পর্কে পাকাপোক্ত ধারনা পাওয়া যাবে।