গোলাম মোস্তফা: তাড়াশের মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়নের হামকুরিয়া গ্রামের মানুষ যুগ যুগ বাঁশের সাঁকো দিয়ে ঝুঁকিতে যাতায়াত করছেন। সারা বছর খাল পারাপারের জন্য বাঁশের সাঁকো-ই তাদের একমাত্র ভরসা।
সরেজমিনে দেখা যায়, হামকুরিয়া গ্রামের পাশের কাটাখালি খালের উপর কাছাকাছি দুইটি বাঁশের সাঁকো। গ্রামের লোকজন ঐ সাঁকো দিয়েই যাতায়াত করছেন। সাঁকোর দু’পাশে নেই রেলিং। নিচের পাটাতনও মাঝে মাঝে ভাঙা।
হামকুরিয়া গ্রামের বাসিন্দা ও দোবিলা ইসলামপুর ডিগ্রি কলেজের পরিদর্শক গোলাম কিবরিয়া উজ্জল জানান, ওয়াবদা বাঁধ থেকে নৌকায় হামকুরিয়া গ্রামে যেতে হতো। কিন্তু বঙ্গবন্ধু সেতু হওয়ার পর হাটকুমরুল-বনপাড়া মহাসড়ক গ্রামের পাশ দিয়ে যায়। তখন যোগাযোগ সংকটের দূরত্ব অনেকটা কমে আসে। গ্রামবাসীর উদ্যোগে তৈরি করা হয় দুইটি বাঁশের সাঁকো। সেই থেকে গ্রামের লোকজন একমাত্র মাধ্যম হিসাবে ঝুঁকিপূর্ণ বাঁশের সাঁকে দিয়ে যাতায়াত করছেন।
মাগুড়া বিনোদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুল ইসলাম বুলবুল বলেন, হামকুরিয়া গ্রামে যাতায়াতের সুবিধা না থাকায় উৎপাদিত ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকে বরাবরই বঞ্চিত কৃষক। যে কারণে জীবনমান উন্নয়নেও পিছিয়ে রয়েছেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রকৌশলী বাবলু মিয়া বলেন, কাটিখালি খালের উপর ব্রিজ নির্মাণ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করা হবে। #